এই ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। সূত্রের খবর, বহিরাগতদের সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর আত্মীয়। যাদবপুরের ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ এবং মদ ও মাদক সেবন আটকাতে ২০১৮ সালে নির্দেশিকা জারি হয়েছিল। গত বছর র্যাগিংয়ের জেরে এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার পরে ফের তা জারি হয়। এ দিন বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কর্তৃপক্ষের দেওয়া ‘বৈধ’ পরিচয়পত্র ছাড়া রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢোকা যাবে না। পরিচয়পত্র দেখাতে বাধ্য থাকবেন পড়ুয়ারা। অন্যদের ক্ষেত্রে অন্য কোনও ‘বৈধ’ পরিচয়পত্র দেখিয়ে প্রবেশ করা যাবে ক্যাম্পাসে। গেটে রাখা থাকবে রেজিস্টার। আগন্তুক যাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন, তাঁর বিষয়ে বিশদ তথ্য ওই খাতায় লিখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সব গাড়ি বা দু’চাকা ঢুকবে, সেগুলিতে কর্তৃপক্ষের দেওয়া স্টিকার থাকতে হবে। স্টিকার না থাকলে প্রবেশের সময়ে সেগুলির রেজিস্ট্রেশন নম্বর গেটে জানাতে হবে। নিরাপত্তারক্ষীরা চাইলে চালক এবং যাত্রীদের ‘বৈধ’ পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। নির্দেশিকা বলছে, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মাদকের ব্যবহার, আইন-বিরোধী কাজকর্ম নিষিদ্ধ। কেউ সে সব করতে গিয়ে ধরা পড়লে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত সেপ্টেম্বরেও ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ এবং মদ-মাদক সেবনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে চিঠি লিখেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি (জুটা)। এ দিন জুটা-র সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘আমরা আগেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম, সন্ধ্যার পরে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে যাচ্ছে যে, শিক্ষক-শিক্ষিকারা পঠনপাঠন, গবেষণার কাজ করতে ভয় পাচ্ছেন। পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি না হলে পড়াশোনার কাজ চালানো মুশকিল হয়ে যাবে। এ ভাবে চলতে পারে না।’’ এই পরিস্থিতি নিয়ে হতাশ ক্যাম্পাসের অনেকেই। স্নেহমঞ্জু জানান, অন্তর্বর্তী উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পক্ষকে নিয়ে এই বিষয়ে শীঘ্রই বৈঠক ডাকবেন।