এই পুজো শুরু হয় বাঁকুড়া জেলার মাইমুরা গ্রামে। তবে ৩১ বছর আগে বর্ধমানে উঠে আসে পুজোটি। পরিবারের প্রধান দেবীদাস চট্টোপাধ্যায় জানান, তাঁর প্রপিতামহের সন্তান মারা যাওয়ায় কোনো ব্রাক্ষ্মণ না পাওয়ায় দাহ করা যায়নি। সেই দুঃখে তিনি শ্বশুরালয়ে চলে আসেন। তিনি এই পুজোর প্রচলন করেন। প্রায় ২৫০ বছরের পুরনো এই পুজোটি।
আজ থেকে ৩১ বছর আগে শরিকি কারণে বর্ধমানে এই পুজো শুরু হয়। প্রথমে কয়েকবছর ঘটেপটে পুজো হলেও ২০০৮ সালে মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়। শুরু হয় মূর্তির পুজো। এই মূর্তির সঙ্গে বামদিকে থাকেন জয়া। ডানদিকে থাকেন বিজয়া। এরা মায়ের দুই সখী। এখানে একদিনেই সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীর পুজো হয়। পরের দিন হয় বিসর্জন। সারা বছর ঘটে পুজো করা হয়।
এই পুজোর আর এক বৈশিষ্ট্য ৫৬ রকমের ভোগ নিবেদন করা হয় দেবীকে। এছাড়াও প্রতিদিনই থাকে বিশেষ ভোগ। সপ্তমীতে থাকে চিঁড়ে-মুড়কি, ফল, কলা, বাতাসা। অষ্টমীতে থাকে লুচি, পায়েস, সুজি, মিষ্টি। নবমীতে থাকে অন্ন, পঞ্চব্যঞ্জন, ৫৬ ভোগ। বাড়ির কর্ত্রী মন্দা চট্টোপাধ্যায় জানান, এখানে অনেক রকম সব্জির তরকারি রান্না হয় ভোগে। থাকে ছাতুর পিটুলি। থাকে কচু, কুমড়ো, শাকভাজা, পনিরের তরকারি। প্রচুর মানুষ এখানে প্রসাদ পান। ঠাকুর দেখতে ভিড় হয় অনেক মানুষের।