খুব স্বাভাবিক ভাবেই হাতি দেখেই পালিয়ে যান শ্রমিকেরা। চা-বাগানে হাতির দল ঢুকেছে শুনতে পেয়ে উৎসাহিত মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে চা-বাগানে। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বন দফতরের কর্মীরাও। এসেই সাধারণ মানুষকে দূরে সরিয়ে দেন বনকর্মীরা।
কিন্তু দেখা যাচ্ছিল কিছু উৎসাহিত মানুষ হাতির খুব কাছে চলে যাচ্ছিলেন। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে হাতি কয়েকবার সমবেত জনতাদের তাড়াও করে। বারবার কিছু মানুষ হাতিদের সামনে চলে যাওয়ায় এবং হাতিদের সামনে পটকা ফাটানোর কারণে হাতির দলটি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছিল। দলের মধ্যে একটি দাঁতাল ছিল। সে হাতিটি রেগে গিয়ে বেশ কিছু চা-গাছ তছনছ করে ফেলে। এরপর বনকর্মীরা সাধারণ মানুষকে দূরে সরিয়ে দেয়।
এলাকার বাসিন্দা বিমল দাস, শুভদীপ সেন বলেন, হাতির দলটি সম্ভবত ভুট্টাবাড়ি জঙ্গল থেকে খাবারের খোঁজে রাতে এই এলাকায় এসেছিল, কিন্তু ভোর হয়ে যাওয়ায় জঙ্গলে ফিরতে পারেনি। এখন চা-বাগানের ঝোপের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছে। যেভাবে উৎসাহিত মানুষ হাতির সামনে যাচ্ছে, তাতে যখন-তখন বিপদ ঘটতে পারে।
চা-বাগানের শ্রমিক সাগর এক্কা, ধীরাজ মুন্ডা বলেন, আমাদের এই চা-বাগানে বন্য জন্তুর উপদ্রব লেগেই আছে। কিছুদিন আগে বাগানের ১৫ নাম্বার সেকশনে একটি গাছের ওপর উঠে পড়েছিল চিতাবাঘ। পাশাপাশি চিতাবাঘ মাঝে মধ্যেই এই চা-বাগানের ছাগল, শূকর খেয়ে নিচ্ছিল। আর বুধবার সেই একই জায়গায় চলে আসে ৫টি হাতি। এসবের ফলে কাজকর্ম বন্ধ ওই সেকশনে। হাতিগুলিকে দ্রুত জঙ্গলে ফেরাক বন দফতর। আমরা চা-বাগানে সব সময় আতঙ্কে থাকি।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে হাতিগুলি ছায়ার মধ্যে রয়েছে। সন্ধা হলেই জঙ্গলে ফেরানো হবে। দিনের আলোয় হাতি জঙ্গলে ফেরাতে গেলে বিপদ ঘটতে পারে।