‘বিবেকামুন্নন’ থেকে ‘সুচ্চিন’, ট্রাম্পের জিভ-বিভ্রাট ভোলেনি বাঙালি
প্রতিদিন | ০৬ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্প যে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে বেপরোয়া, তা জানা গোটা বিশ্বের। গতবার মার্কিন নির্বাচন পরবর্তী ক্যাপিটল হিংসায় নাম জড়ায় খোদ রিপাবলিকান নেতার। যদিও জো বাইডেনের মতো ভুল বকার মানুষ নন তিনি। তবে কিনা ভারতীয়রা সেবার বেজায় ক্ষেপেছিল ট্রাম্পের ভুল উচ্চারণে, হাসির রোলও উঠেছিল। সেই ট্রাম্পই ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্টের গদিতে বসতে চলেছেন। একথা বাংলা বাজারে ছড়িয়ে পড়তেই ট্রেনে-বাসে ‘বিবেকামুন্নন’ নিয়ে জোর আলোচনা। ফ্ল্যাশব্যাকে হাঁটা দিচ্ছে বাঙালি।
২০২০ সালের শীত। ফেব্রুয়ারি মাস। ভারত সফরে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। মোতেরা স্টেডিয়ামে ‘বন্ধু’কে সংবর্ধনার ব্যবস্থা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়েই ব্যাপক জিভ-বিভ্রাট। মার্কিন জিভ একাধিক ভারতীয় শব্দ উচ্চারণ করতে গিয়ে ল্যাজে-গোবরে হয়। এর ফলে একদিকে যেমন হাসির ঢেউ ওঠে, অন্য দিকে বিরক্ত হন নেটিজেনদের একাংশ। স্বামী ‘বিবেকানন্দ’, ‘বেদ’ এবং ‘শচীন তেণ্ডুলকরে’র মতো শব্দ ভুল উচ্চারণ করেন ট্রাম্প।
সেবার মোতেরায় নিজের বক্তব্যে বলিউড থেকে ক্রিকেট, ভারতের বহুত্ববাদ থেকে ভারত-পাক সম্পর্ক, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা থেকে স্বামী বিবেকানন্দের বাণী… সমস্ত বিষয়ে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বিবিধ বক্তব্যের মাঝে ভুল উচ্চারণের লাইন লেগে যায়। ‘স্বামী বিবেকানন্দ’ বলতে গিয়ে বলেন, ‘স্বামী বিবেকামুন্নন’, বেদের প্রসঙ্গ টানতে গিয়ে ‘বেদ’ উচ্চারণটাই ভুল করেন। ‘ভেদাস’ বলতে গিয়ে তিনি বলেন ‘ভেস্টাস’। মোদির প্রশংসা করতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, একজন চা-ওয়ালা থেকে এত বড় দেশের নেতা হওয়া বিরাট কৃতিত্ব। ‘চা-ওয়ালা’ শব্দটি ট্রাম্পের উচ্চারণে হয়ে যায় ‘চি-ওয়াল্লা।’ এখানেই শেষ নয়। শচীন তেণ্ডুলকর নামের উচ্চারণও ঠিক মতো করতে পারেননি তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শচীনকে বলেছিলেন ‘সুচ্চিন তেণ্ডুলকর।’ কালজয়ী ভারতীয় ছবি ‘শোলে’র নাম নিতে গিয়েও দুর্ঘটনায় পড়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের জিভ। তিনি বলেন ‘সোজে’।
সেই ট্রাম্প (Donald Trump) ডেমোক্র্যাট নেত্রী কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন। বাংলা বাজারে এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে আলোচনা—তাহলে ভারতে এলে আবার শোনা যাবে ‘বিবেকামুন্নন’, ‘সুচ্চিন’। হাসির রোল উঠছে শহর থেকে শহরতলির চায়ের দোকানে। রানাঘাট লোকাল থেকে বনগাঁ লোকালে, হাওড়া কিংবা টালিগঞ্জগামী বাসেও একই আলোচনায় মেতে জনতা।