বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমিক বারবার সহবাস করেছে। দিনের পর দিন সহবাসের ঘটনা ঘটেছে তাঁদের মধ্যে। কিন্তু অবশেষে ওই প্রেমিক জানিয়ে দেয়, সে বিয়ে করতে পারবে না। এই কথা শুনে হতাশার মধ্যে প্রবেশ করেন তরুণী প্রেমিকা। এই প্রতারণা মেনে নিতে না পেরে তাই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন তরুণী। এই ঘটনা সামনে আসতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। মেয়ের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মা। এই ঘটনায় অভিযুক্ত প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতা তরুণীর পরিবার। যদিও অভিযুক্ত যুবক পলাতক। তবে এই ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত যুবকের মা। আরামবাগের আরান্ডি এলাকায় পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
গ্রামের মধ্যে এমন ঘটনা কেউই মেনে নিতে পারছেন না। গ্রামবাসীরাও পুলিশের কাছে দোষীর উপযুক্ত শাস্তি চেয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মৃতা তরুনীর নাম শুভ্রা দোলুই । তারা দুই বোন এবং এক ভাই। শুভ্রাই বাড়ির বড় মেয়ে ছিলেন। মেধাবী পড়ুয়া ছিলেন। হাতের কাজ কাজ করতেন নিজের খরচ চালানোর জন্য। আর অভিযুক্ত যুবকের নাম পঙ্কজ দোলুই। তার মা কল্যাণী দোলুই বলেন, ‘আমাদের এসব বলে ফাঁসানো হচ্ছে। এমন কোনও সম্পর্ক আমার ছেলের সঙ্গে ছিল না মেয়েটির। উলটে টাকার দাবি করছিল মেয়ের পরিবার। আমরা দিইনি।’
পরিবার সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবক ওই তরুণীর সম্পর্কে তুতো কাকা। সেটা জানার পরও প্রলোভন দেখিয়ে এবং ফুঁসলিয়ে মেয়ের সঙ্গে মেলামেশা করে। মেয়েটির কথাতেই সব প্রকাশ্যে আসে। মৃতার মায়ের অভিযোগ, ‘মেয়ের কাছ থেকে জানতে পারি যে একাধিকবার সহবাস করেছে পঙ্কজ। তাকে বিয়েও করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। প্রথমে আমরা কিছুই জানতে পারিনি। ছেলেটির যখন বিয়ের ঠিক হয় তখন আমার মেয়েকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। তাই আমার মেয়ে হতাশ ও অবসাদে পড়ে যায়। আত্মহত্যা করে। আমি আমার মেয়ের বিচার চাই। ওই যুবকের শাস্তি চাই।’
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই তরুণী এবং যুবকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাঁরা নানা জায়গায় ঘুরে যেত। মেয়েটিকে অনেকবারই ছেলেটির বাড়িতে যেতে দেখা গিয়েছে। ওই যুবক পঙ্কজই মেয়েটিকে ঠকিয়েছে। ওই যুবকই দায়ী এই মৃত্যুর জন্য। তার যেন কঠিন শাস্তি হয়। আরামবাগ থানা গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে। দুই পরিবার এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ওই যুবককে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।