আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে দিন কয়েক আগে আয়োজিত একটি পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে একজনকে বলতে শোনা গিয়েছিল, আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় তাঁর পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। এরপরই প্রশ্ন তোলা হয়েছিল ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় আর্থিক সহায়তা দিলেই কি সমস্যার সমাধান হয়ে যায়? আর তারপরই অভিষেকের নাবালিকা কন্যাকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। দুজন মহিলা এই সব মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। সেই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো ছ়ড়িয়ে পড়েছিল সোশ্য়াল মিডিয়ায়। তবে সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
তবে সেখানেই সেই ঘটনা থেমে যায়নি। এক মহিলা ডায়মন্ডহারবার থানায় ওই দুই মহিলার বিরুদ্ধে মামলাও করেছিলেন। এরপর নিমতা থেকে গত ৭ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত দুই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
এদিকে ধৃতদের পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার পরে তাদের উপর শারীরিক নির্যাতন করেছে। এদিকে সেই নালিশ জানানো হয়েছিল হাইকোর্টে। তারপর হাইকোর্টে সেই মামলা ওঠে। সেখানে বিচারপতি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি সেই সময় নির্দেশ দিয়েছিলেন পুলিশের কারা এই অত্যাচারের ঘটনায় যুক্ত ছিলেন সেটা দেখবে সিবিআই।
এদিকে এই সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পরেই সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। এরপর ডিভিশন বেঞ্চের সামনে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানিয়ে দেন সাংসদের মেয়েকে নিয়ে কটূ মন্তব্য করার জন্য পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। পকসো ধারা দেওয়া হয়েছে। ওই দুই মহিলার উপর পুলিশের অত্যাচার হয়নি। সিঙ্গেল বেঞ্চ মামলাটি প্রথম দিন শুনেই কীভাবে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল? প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল।
তবে এর জবাবও দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তিনি জানিয়েছেন, আরজিকর মামলাতেও প্রথম দিনই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এখানে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ।… পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ রাজ্য সমর্থন করতে পারে না।
এদিকে রাজ্য়ের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। তার আগে আদালতের তরফে বলা হয়েছে, রাজ্য বলছে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সঠিক নয়। পুলিশের উপর রাজ্যের এত আত্মবিশ্বাস থাকলে সিবিআই তদন্ত করুক। ওই দুই মহিলার গ্রেফতারি নিয়েও কা্র্যত প্রশ্ন তুলে দেয় হাইকোর্ট। কার্যত সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের উপর হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, মামলাকারীর উপর শারীরিক অত্য়াচার হয়েছে এটা মেডিক্যাল রিপোর্টে জানা গিয়েছে।