ফের ইমেল করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। ফের টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে আলোচনা চান জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি মোতায়েন করা হয়নি অতিরিক্ত নিরাপত্তাকর্মী। রাজ্যের টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে আলোচনা করতে চাইছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবি হাসপাতালে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়ে যে দাবি তাঁরা করেছিলেন তার বিশেষ অগ্রগতি হয়নি। তার জেরেই এবার মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠালেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মূলত হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তাঁরা। তার জেরেই তাঁরা এবার ইমেল করেছেন জুনিয়র রাজ্যের মুখ্য়সচিবকে।
এদিকে জুনিয়র ডাক্তাররা দিনের পর দিন ধরে আন্দোলন করেছেন। দিনের পর দিন ধরে অনশনও করেছেন তাঁরা। তবে শেষ পর্যন্ত মুখ্য়মন্ত্রী সঙ্গে আলোচনার পরে তাঁরা অনশন তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা মুখ্য়মন্ত্রীর কথায় যে অনশন তুলছেন না একথাও তাঁরা জানিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁরা জানিয়েছিলেন, নির্যাতিতার বাবা মায়ের অনুরোধে তাঁরা অনশন তুলে নিচ্ছেন। এদিকে এরপর অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরে আসছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। না সেটা তাঁরা করেননি। আন্দোলনের রাস্তা থকে সরে আসেননি জুনিয়র ডাক্তাররা। রাজপথ ছাড়েননি তাঁরা।
তার একাধিক নজির তাঁরা রেখেছেন। তবে সেই সঙ্গেই জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ জানিয়ে দিয়েছিলেন পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য় কিছুদিন তাঁরা পড়াশোনা করবেন। সেকারণে সরাসরি আন্দোলনের মঞ্চে তাঁদের দেখা যাবে না। কিন্তু তাঁরা ভীষণভাবে রয়েছেন আন্দোলনে। আর তারই অঙ্গ হিসাবে এবার ফের মুখ্য়সচিবের কাছে ইমেল করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেখানে হাসপাতালের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। এদিকে হাসপাতালের সুরক্ষা সহ নানা ক্ষেত্রে উন্নয়নমূলক কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হয়েছিল। মুখ্য়মন্ত্রী নির্দেশেই তৈরি হয়েছিল সেই টাস্ক ফোর্স। সেই টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়ে ফের চিঠি দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
এর আগে অন্যতম আন্দোলনকারী চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়া ফেসবুকে লিখেছিলেন, প্রায় ৩ মাস রাস্তায় রাস্তায় আমরা সবাই মিলে ,একসাথে ,একই পথে, এক সঙ্গে ,এক সুরে ,কাঁধে কাঁধ ,পায়ে পা মিলিয়ে অন্যায় এর বিরুদ্ধে লড়ছি । অনেক কিছু ছিনিয়ে এনেছি ।অনেক কিছু পাইনি ।অনেকিছু হারিয়েছি । নারীশিক্ষা ,শিক্ষা ,সুরক্ষা কে অধিকার হিসাবে বলতে গিয়ে নানা কথা ,বক্তৃতা দিয়েছি ।আমার বোনদের এর উপর যারা অত্যাচার করে তারাও অনেক ব্যঙ্গ ,তামাশা করেছে সেটাও শুনেছি ।
বিচার বিচার এর শব্দে কারও চেয়ার নড়ছে কিনা জানিনা কিন্তু কোনো চেয়ার এর ভয়ে বিচার থেকে আমাদের কেউ নড়াতে পারেনি ,পারবেনা ।
তারপর ও সামনে MS/MD exam. আমাদের কয়েকজন কে পড়াশুনা করতে বসে পড়তে হল ।হয়তো বেশ কয়েকজন কে বেশ কয়েকদিন দেখতে পাবেননা কিন্তু আন্দোলন চলছে এবং চলবে এটা ভুলে যাবেননা । যাদের exam এখনই নেই তারা এবং আপনারা মিলে এ যুদ্ধ আগিয়ে নিয়ে যাবেন আশা রেখে পড়তে বসলাম ।
শিক্ষিত দের হাতে ক্ষমতা থাকুক বা না থাকুক ।শিক্ষার যে ক্ষমতা আছে এটা প্রতিষ্ঠিত হোক ।