• জোকা ইএসআই হাসপাতালে যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার, খুন না আত্মহত্যা?‌ তদন্তে পুলিশ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৬ নভেম্বর ২০২৪
  • আজ, বুধবার জোকায় ইএসআই হাসপাতালের চারতলা বিল্ডিংয়ের কাছ থেকে এক যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। চারতলা বিল্ডিংয়ের পাশে পড়েছিলেন ওই যুবক। মুখের একদিক থ্যাঁতলানো ছিল বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন। এটা খুন নাকি আত্মহত্যা?‌ এই প্রশ্নই এখন বড় আকার ধারণ করেছে পুলিশের কাছে। কারণ যদি খুন হয় তাহলে মোটিভ কী ছিল?‌ আর যদি আত্মহত্যা করে থাকেন, তাহলে এই পথ বেছে নেওয়ার কারণ কী?‌ এসব প্রশ্নকে সামনে রেখে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

    পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম রৌনক ভট্ট ‌। ওই যুবক মঙ্গলবার সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন। সারাদিন বাড়ি না ফেরায় ওই যুবকের পরিবারের সদস্যরা তাঁর নিখোঁজ থাকার খবর জানিয়ে মঙ্গলবার রাতে বেহালা থানায় ডায়েরি করেন। রৌনক ভট্টের বাড়ি বেহালা থানার অন্তর্গত পুটিয়ারি রোডে। পড়াশোনায় মেধাবী হলেও চাকরি না পাওয়ায় অবসাদে ভুগছিলেন যুবর রৌনক। সেখান থেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারেন তিনি। ওই যুবক অনেক দিন ধরেই চাকরির চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু চাকরি জোগাড় করতে পারেননি বলেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তার জেরেই ইএসআই হাসপাতালের পিছনের দিকের বিল্ডিং থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন যুবক।

    কিন্তু আত্মহত্যা করলে কি মুখ থেঁতলে যায়? এই প্রশ্নও খতিয়ে দেখছে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ। রৌণকের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর কারণ সামনে আসবে। তবে ওই ঘটনা আত্মহত্যা না খুন এখন সেটা তদন্ত করে দেখছে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ। জোকা ইএসআই হাসপাতালের চারতলা বিল্ডিংয়ের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন ওই যুবক। স্থানীয় বাসিন্দারা সেটা দেখে খবর দেয় ঠাকুরপুকুর থানায়। পুলিশ এসে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবককে নিয়ে যায় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে। সেখানেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয় তাঁকে।

    এছাড়া বেহালা থানা এলাকায় পুলিশ গিয়ে ওই যুবকের পরিচিত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেছেন। ইএসআই হাসপাতাল চত্বরের লোকজনকে এবং হাসপাতালের কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রৌনককে শেষ কখন এবং কোথায় দেখা গিয়েছিল তা জানতে সিসিটিভি ফুটেজ জোগাড় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইএসআই হাসপাতাল থেকে রৌণক নিজে ঝাঁপ দিয়েছিলেন নাকি পিছন থেকে কেউ ধাক্কা মেরেছিল সেটাও ভাবিয়ে তুলেছে পুলিশকে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)