২০২৪ সালের ছট পুজো উপলক্ষ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা গান এবার প্রকাশ্যে আসতে চলেছে। বিহার, উত্তর প্রদেশ সহ দেশের একটি বড় অংশের মানুষের কাছে এই ছট উৎসব বড় পার্বন। আজ কলকাতার বুকে 'পোস্তা বাজার মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের' জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে এই গানের কথা বলেন দিদি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এই গান আগামিকাল ছট উৎসবের সময় শোনা যাবে। এই গান মুখ্যমন্ত্রীর ফেসবুক পেজেও আসবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বলেন,' ছট পুজো উপলক্ষ্যে আপনাদের অনেক অনেক শুভকামনা। আমি কাল এর জন্য একটি গানও লিখেছি। এই গানের কথা আমার। যদি ভুল হয়ে থাকে, তাহলে ক্ষমা চাইছি। তবে… এটি করেছি। বানিয়েছি একটি গান ছটি মায়ের জন্য। আপনারা কাল ঘাটে গিয়ে শুনতে পাবেন, আমাদের পুলিশ এগুলোকে লাগিয়ে দেবে। আমি পেনড্রাইভ দিয়ে দিয়েছি। কাল আমার ফেসবুকে দেখা যাবে।' এরইসঙ্গে দিদি তুলে ধরেন, বড় বাজার ও পোস্তা বাজারের হাল হকিকত। মমতা বলেন, ‘অনেকেই এমন আছেন যাঁরা কাজ ফেলে রাখেন, তবে কিন্তু আমি কাজ ফেলে রাখা পছন্দ করি না।’ মমতা বলেন, মন থেকে কাজ করার কথা। এরপরই কেন্দ্রের সরকারের দিকে তোপ দাগেন মমতা। মমতা বলেন,'এখানে আমি ভোটের কথা বলতে আসিনি, যখন প্রয়োজন হয়, তখন তো কাউকে পাননা। কিন্তু আমাদের পাবেন ৩৬৫ দিন কাকের মতো। কোকিল আসবে…কুহু কুহু করে চলে যাবে। কিন্তু কাক রোজ আসবে। তার ডাক পছন্দ নাও হতে পারে। তবে রোজ আসে সে।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সভা মঞ্চ থেকে বলেন, বাংলা…' তো পুরো মিনি ইন্ডিয়া। কারোর বাজ়ি বিহার, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে হতে পারে.. দেশের সব কোণ থেকে আপনারা আসেন। কিন্তু আপনাদের কখনও কোনও সমস্যা হয়েছে জাতি,ধর্মের নামে? ’ 'আমরা কখনও জিজ্ঞাসা করিনা আপনারা খাবেন পরবেন, কোন ধর্মের।' তিনি বলেন, এখানে থাকতে গেলে ‘মিলে মিশে থাকতে হবে’। তিনি দেন মানবিকতার বার্তা। তিনি বলেন,'বাংলাকে নিজের ঘর ভাবুন, তাহলেই আপন করতে পারবেন। '