স্থানীয় সূত্রের খবর, মৃতার দুই বোন এবং এক ভাই। পড়াশোনার পাশাপাশি সংসারের খরচ চালানোর জন্য টুকিটাকি কাজ করতেন ওই ছাত্রী। তাঁর পরিবারের দাবি অনুযায়ী, অভিযুক্ত মৃতার দূরসম্পর্কের কাকা। বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ভাইঝির সঙ্গে তিনি মেলামেশা করতেন। মৃতার মায়ের কথায়, ‘‘মেয়ের কথাতেই জানতে পারি যে ওর সাথে একাধিক বার সহবাস করেছে ছেলেটি (অভিযুক্ত)। ওকে বিয়েও করবে বলে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। প্রথমে আমরা কিছুই জানতে পারিনি। কিন্তু ওই ছেলেটিকে যখন মেয়ে বিয়ের জন্য চাপ দেয় তখন সে অস্বীকার করেছে। সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে। আমার মেয়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। তাতেই হতাশা এবং অবসাদে আমার মেয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।’’ তিনি অভিযুক্তের শাস্তির দাবি করেছেন। স্থানীয়রাও মেয়েটির মৃত্যুর জন্য ওই যুবককে দায়ী করেছেন। অন্য দিকে, অভিযুক্ত যুবকের তার মা জানিয়েছেন, তাঁর ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘আমার ছেলের ওই রকম কোনও সম্পর্ক ছিল না মেয়েটির সঙ্গে। উল্টে নানা ভাবে ওর কাছে টাকা দাবি করছিল ওরা। আমরা দিইনি।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।