স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির নাম শের বাহাদুর। দুর্গাপুর স্টিল প্লান্টে অ্যাম্বুল্যান্স চালক পদে কর্মরত তিনি। দুর্গাপুর শহরেরই মার্কনী এভিনিউয়ের ডিএসপি-র আবাসনে থাকেন স্বামী-স্ত্রী। ছেলে-মেয়ে ও পরিবারের লোকেরা নেপালের বাসিন্দা।
মার্কনী এভিনিউয়ের ডিএসপি আবাসনের কাছেই চন্ডীদাস বাজার। পরিবারের লোকেদের দাবি, সোমবার পায়ে হেঁটেই চন্ডীদাস বাজারে সবজি কিনতে গিয়েছিলেন শের বাহাদুর, কিন্ত আর বাড়ি ফেরেননি। নিজের মোবাইলটি রেখে গিয়েছিলেন বাড়িতে। ফলে তাঁর সঙ্গে কোনওভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। খোঁজ না পেয়ে শেষপর্যন্ত বি-জোন ফাঁড়িতে নিখোঁজ ডায়ের করেন বন্ধুরা। কবে? সোমবার মধ্যরাতে।
আজ, বুধবার সন্ধ্যায় নিজেই আবার বাড়িতে ফিরে এলেন শের বাহাদুর। কোথায় গিয়েছিলেন? কেন গিয়েছিলেন? সেসব প্রশ্নের কোনও জবাব দেননি তিনি। বাড়িতেই ফিরে ঘুমিয়ে পড়েন। পরিবার সূত্রে খবর, লটারির টিকিট কাটার নেশা ছিল শের বাহাদুরের। বহুবার নাকি পুরস্কার পেয়েছিলেন!তাহলে কি লটারিতে বড় অংকে পুরস্কার পেয়ে বিপদে পড়েছেন? তদন্ত নেমেছে পুলিস। প্রাথমিক তদন্তে জানা দিয়েছে, বাজারে প্রচুর দেনা রয়েছে ওই ডিএসপি কর্মীর। নেপালের ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি।
এর আগে, দুর্গাপুর স্টিল প্লান্টের কাজে যোগ দেওয়ার পর হঠাত্-ই নিখোঁজ হয়ে যান এক আধিকারিকরা। প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর কারখানার ভিতর লিফটের নিচে তাঁর দেহ পাওয়া যায়। মৃতের নাম সমিত ভট্টাচার্য। দুর্গাপুর স্টিল প্লান্টের (ডিএসপি) আরএমএইচপি বিভাগের জিএম (অপারেশন) পদে কর্মরত ছিলেন তিনি।