সপ্তমীর রাতে ত্রিধারার পুজোমণ্ডপের সামনে আরজি-কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে কয়েক জন স্লোগান তোলেন। ওই ঘটনায় একটি এফআইআর দায়ের হয়েছিল। তার ভিত্তিতে ন’জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালত ধৃতদের সাত দিনের হেফাজতের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ধৃতদের পরিবার। মামলায় অভিযুক্তদের আগেই অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। সঙ্গে আদালত শর্ত দিয়েছিল, অভিযুক্তেরা আর কোনও পুজো মণ্ডপের সামনে অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারবেন না। পুজো মণ্ডপের ২০০ মিটারের মধ্যে কোথাও প্রতিবাদ করা যাবে না। রাজ্য সরকারের পুজোর কার্নিভালেও কোনও অসুবিধা তৈরি করা যাবে না বলে জানিয়েছিল হাই কোর্ট।
অন্তর্বর্তী জামিনের সময়ে দেওয়া সব শর্তগুলিই ছিল মূলত পুজোকেন্দ্রিক। এখন পুজো মিটেছে। পুজোর কার্নিভালও হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় অভিযুক্তদের জামিন নিশ্চিত করে অন্তর্বর্তী জামিনের সময়ে দেওয়া শর্তগুলিও তুলে নিয়েছে হাই কোর্ট।
প্রসঙ্গত, ৯ অক্টোবর তাঁদের গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। রাখা হয়েছিল রবীন্দ্র সরোবর থানায়। পরে ১১ অক্টোবর হাই কোর্ট তাঁদের অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই সময়েই আদালত জানিয়েছিল পুলিশের বাজেয়াপ্ত করা সামগ্রী থেকে অভিযুক্তদের বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। তাই তাঁদের হেফাজতে রাখার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছিল হাই কোর্ট। হাই কোর্টের নির্দেশের ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর ১২ অক্টোবর রবীন্দ্র সরোবর থানা থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন ন’জন।