• ইন্টারভিউয়ের পরেও VC পেল না স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়, জারি হবে বিজ্ঞপ্তি
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৭ নভেম্বর ২০২৪
  • ২০২৩ সালের অগস্ট থেকে ফাঁকা রয়েছে স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদটি। সেই শূন্য পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত উপাচার্য হিসেবে কাউকে নিয়োগ করা যায়নি। জানা গিয়েছে, যে সমস্ত প্রার্থীদের উপাচার্য পদে জন্য ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে তাঁদের কাউকেই যোগ্য বলে মনে হয়নি সার্চ কমিটির। সেই কারণেই এখনও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদটি ফাঁকা রয়েছে। এই অবস্থায় উপাচার্য পদের জন্য নতুন করে ইন্টারভিউয়ের জন্য উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

    রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সার্চ কমিটি গঠন হয়েছে। সেই সার্চ কমিটি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের জন্য ৮ জন প্রার্থীর ইন্টারভিউ নিয়েছিল। এই সব আবেদনকারীদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন উপাচার্য-সহ বিভিন্ন শহর ও জেলার সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষরা। এছাড়াও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র শিক্ষক-চিকিৎসক এবং জেলার সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অবসর নেওয়া এক শিক্ষক-চিকিৎসকও ছিলেন। তবে এদের কাউকেই উপাচার্য পদের যোগ্য বলে মনে হয়নি সার্চ কমিটির। সেই কারণেই এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করা যায়নি। 

    এর আগে স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন সুহৃতা পাল। তিনি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। তবে তাঁকে নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলে এবং স্বজন পোষণের অভিযোগ তুলে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ২০২৩ সালের অগস্টে তাঁকে উপাচার্য পদ থেকে সরিয়ে দেন। তারপর থেকেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদটি ফাঁকা রয়েছে।  সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকার ও রাজভবনের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল। তা নিয়ে মামলা গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে জট কাটে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত হয় সার্চ কমিটি। এই কমিটি এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ করছে। আরজি করের আবহে চিকিৎসকদের আন্দোলনে দাবিগুলির মধ্যে একটি ছিল স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো সংস্কারের দাবি উপাচার্য পদে নিয়োগের বিষয়টিও তাতে ছিল। তবে এখনও পর্যন্ত উপাচার্য নিয়োগ না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে পড়ুয়াদের মধ্যে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কবে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ হবে তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)