নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: আগুনে পুড়ে গিয়েছে ঘর। ন্যূনতম সম্বলটুকুও আজ ভস্মস্তূপের নীচে চাপা পড়ে। সদ্য ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া লোনের যে নগদ টাকা ঘরে রেখেছিলেন, তাও পুড়ে গিয়েছে সবটা। আগুনে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন খোদ বাসিন্দা দম্পতিও। বুধবার সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ‘সর্বহারা’ এহেন দম্পতিকে ত্রিপল সহ পর্যাপ্ত খাদ্যসামগ্রী সহায়তার ব্যবস্থা করে দিলেন ব্লক প্রশাসনের কর্তারা। একইসঙ্গে পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলও। জেলা পরিষদের সদস্যা তথা তৃণমূল নেত্রী বর্ণালী দে নিজে এবং দলীয় তরফে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা তুলে দেন দম্পতির হাতে। গাংনাপুর থানার রায়পাড়া টিনের ছাউনির বাড়িতে অভাবের দিন গুজরান ছিল চৈতন্য মজুমদার এবং তাঁর স্ত্রী সুপ্রিয়া মজুমদারের। মঙ্গলবার সকালে চা করতে গিয়ে গ্যাস লিক করে আগুন ধরে যায় বাড়িতে। অল্প সময়ের মধ্যেই বাড়ির অধিকাংশ চলে আসে আগুনের গ্রাসে। অগ্নিদগ্ধ হন দম্পতিও। টিউশন পড়তে যাওয়ার কারণে রক্ষা পায় তাঁদের একমাত্র ছেলে। সর্বস্ব খুইয়ে যখন তাঁদের পথে বসার উপক্রম, তখনই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় প্রশাসন। বুধবার রানাঘাট ২ ব্লকের বিডিও শুভজিৎ জানা এবং পঞ্চায়েত সমিতির কর্তারা ছুটে যান। ত্রিপল সহ ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় তাঁদের হাতে। এছাড়াও পর্যাপ্ত চাল, ডাল, সব্জি এবং অন্যান্য শুকনো খাবার দেওয়া হয়। পাশাপাশি নিজস্ব উদ্যোগে এবং পার্টির তহবিল থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা দেন বর্ণালী। আগুনে বইপত্র পুড়ে যাওয়ায় বিপদে পড়েছে একাদশ শ্রেণিতে পাঠরত তাঁদের একমাত্র ছেলে। তাকে সমস্ত বই কিনে পড়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও নিজেই। তিনি বলেন, পরিবারটির ন্যূনতম অবলম্বন অবশিষ্ট নেই। আমরা যতটা সম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করব। কালই বইপত্র কেনার চেষ্টা করব।