নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: এক যুবতীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। আরামবাগ থানা এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বাড়ি থেকে ২১ বছরের ওই যুবতীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিস গিয়ে ওই যুবতীকে উদ্ধার করে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় ওই রাতেই মৃতার বাবা আরামবাগ থানায় প্রতিবেশী ওই যুবক ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস জানিয়েছে, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করার অভিযোগ করা হয়েছে প্রতিবেশী ওই যুবকের বিরুদ্ধে। যুবকের অন্যত্র বিয়ের প্রস্তুতি নিয়েছিল তার পরিবার। সেই খবর জানার পরই যুবতী আত্মঘাতী হন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। একটি মামলাও রুজু হয়েছে।
মৃতার মা বলেন, প্রতিবেশী ওই যুবকের সঙ্গে আমার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেটা জানার পর আমরা তাঁদের বিয়ে দেব বলেও জানিয়েছিলাম। ওই যুবক আমার মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করে। তারপর সম্প্রতি ওই যুবকের পরিবার তার বিয়ের জন্য পাত্রী দেখা শুরু করে। আমার মেয়ে তা শুনে কষ্ট পায় ও অপমানিত বোধ করে। তাকে ওই যুবক ও তার পরিবার আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। আমি আমার বড় মেয়েকে হারালাম। আমরা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
যদিও অভিযুক্ত যুবকের মা বলেন, আমার ছেলেকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে। মিথ্যে অভিযোগ আনছে ওরা।
মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবতী স্নাতক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তাঁরা দুই বোন ও এক ভাই। ওই যুবতীই বড়। পরিবারের বড় মেয়ের এমন চরম সিদ্ধান্তে ভেঙে পড়েছেন বাড়ির সদস্যরা।