জলঙ্গির উপর সেতু, এমপির ফেসবুক বার্তায় খুশি তেহট্ট
বর্তমান | ০৭ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, তেহট্ট: দীর্ঘদিনের দাবি বুঝি মিটতে চলেছে। কৃষ্ণনগরের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্রের একটি ফেসবুক বার্তায় সেই ইঙ্গিত পেয়ে খুশি তেহট্ট-১ ও ২ ব্লকের বাসিন্দারা। তেহট্টের দুই ব্লকের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি, জলঙ্গি নদীর উপর একটি সেতুর। সেতুর জমি সার্ভে শুরু হয়েছে, সেই সঙ্গে দ্রুত সেতুর কাজ শুরু হবে, এই মর্মে ফেসবুক পোস্ট করার পরেই দুই ব্লকের মানুষের মধ্যে খুশির হাওয়া। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, তেহট্ট-১ ও ২ ব্লককে আলাদা করেছে জলঙ্গি নদী। তেহট্ট-২ ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের মানুষদের বিভিন্ন কাজে নদী পেরিয়ে আসতে হয়। সবচেয়ে সমস্যায় পড়তে হয় বর্ষার সময়। সারা বছর বাঁশের সাঁকো থাকলেও বর্ষার সময় নৌকা করে যাওয়া আসা করতে হয়। এর মধ্যে বর্ষায় আরেক সমস্যা নদীতে দেখা দেয়, তা হল কচুরিপানা। কচুরিপানার জন্য খেয়া বন্ধ হয়ে থাকে দু’দিন তিনদিন ধরে। ফলে চরম সমস্যায় পড়েন তেহট্ট-২ ব্লকের বাসিন্দারা। বিভিন্ন কারণে দীর্ঘদিন থেকে তেহট্টে জলঙ্গি নদীর উপর সেতুর দাবি জানিয়ে এসছেন দুই পাড়ের মানুষ। বাম আমলে একবার মাটি পরীক্ষা হলেও সেতু তৈরি হয়নি। তৃণমূল ক্ষমতায় এলে মানুষের আশা ছিল এবার সেতু হবে। এই আমলে প্রথমে একবার মাটি পরীক্ষা হলেও কাজ এগোয়নি। মহুয়া মৈত্র সংসদ সদস্য হওয়ার পর জনগণের চাহিদা বুঝতে পেরে সেতুর জন্য তৎপর হন। বছর খানেক আগে তাঁর উদ্যোগে ও রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় আবার মাটি পরীক্ষা হয়। তারপর সেতু তৈরির ডিপিআর হয়ে যায়। এক বছরের মধ্যে সেতুর জন্য যে জমি প্রয়োজন তার সার্ভে শুরু হয়। মঙ্গলবার থেকে এই সার্ভে শুরু হয়েছে। এই প্রসঙ্গে এক আধিকারিক বলেন, সার্ভে হওয়ার পর যাঁদের জমি নেওয়া হবে তাঁদের নোটিস করে ডাকা হবে। জমি পেয়ে গেলেই খুব তাড়াতাড়ি সেতুর কাজ শুরু হবে। মহুয়া মৈত্রের ফেসবুক বার্তা নিয়ে এলাকার বাসিন্দা লোকেশ আচার্য বলেন, আমাদের সংসদ সদস্য যা কথা দিয়েছেন তা করেছেন। ওঁর উদ্যোগে সেতুর কাজে অগ্রগতি হয়েছে। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি সেতু তৈরির কাজ শুরু হবে। সংসদ সদস্যের ফেসবুক বার্তায় সে কথা জেনে আমরা খুব খুশি। সেতু তৈরি হলে দুই পারের মানুষের সব দিক থেকে সুবিধা হবে।