কোচবিহারে তোর্সার তিনটি ঘাটে ছটপুজোর ব্যবস্থা করেছে পুরসভা
বর্তমান | ০৭ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কোচবিহারের তোর্সা নদীর ফাঁসিরঘাট, বিনপট্টি ও চাঁদমারি ঘাটে ছটপুজোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছটপুজো উপলক্ষ্যে ৫০ হাজার মানুষ এই তিন জায়গায় পুজো করতে পারবেন বলে কোচবিহার পুরসভা জানিয়েছে। পর্যাপ্ত মানুষ যাতে তোর্সার পাড়ে ছটপুজোয় শামিল হতে পারে সেজন্য তোর্সার নতুন একটি চরকে বাঁশের সাঁকো দিয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। সেখানেও বহু মানুষ পুজো করতে পারবেন। পুরসভা ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘাটগুলিতে আলো, বাঁশের সাঁকো, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যশিবির, ভ্যাট, জল প্রভৃতির ব্যবস্থা করা হয়েছে। দিন কয়েক সাগরদিঘিতে ছটপুজো করা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। প্রশাসন জানিয়েছে, সাগরদিঘিতে ছটপুজোর বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে। ফাঁসিরঘাটে যে ব্যবস্থা করা হয়েছে তা পর্যাপ্ত। ছটব্রতীদের সব রকমের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, তোর্সার ফাঁসিরঘাট, বিনপট্টি ও চাঁদমারিতে ৫০ হাজার মানুষের ছটপুজোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আলো, জল সহ সব রকমের ব্যবস্থাপনা থাকছে। কোচবিহারের মহকুমা শাসক কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তোর্সার ঘাটে সরকারিভাবে যে ব্যবস্থা ছটপুজোর আয়োজন করা হয়েছে তা পর্যাপ্ত। যেহেতু সাগরদিঘিতে এবার ছটপুজো করতে নিষেধ করা হয়েছে। তাই নতুন চরকে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যুক্ত করে অতিরিক্ত আয়োজন করা হয়েছে। সকলকে সেখানে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে। দু’একজন ছাড়া সকলেই আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন।
প্রতি বছরই কোচবিহারে ছটপুজোর বিরাট আয়োজন হয়। হাজার হাজার পূণ্যার্থী তোর্সার ঘাট সহ আরও নানা জায়গায় ছটপুজোয় শামিল হন। এজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগে থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। এবারও তেমনই চলছিল। এদিকে একাংশ ছটব্রতী সাগরদিঘির পাড়ে ছটপুজো করতে উদ্যোগ নেন। প্রশাসন সেই পরিকাঠামো সরিয়ে দেয়। যা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। ওই ছটব্রতীরা সাগরদিঘির পাড়ে ছটপুজো করার দাবি মহকুমা শাসকের বাংলোয় গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। পরে দফায় দফায় বৈঠকও হয়। প্রশাসনের দাবি, তোর্সার পাড়ে ছটপুজো করতে তাঁরা সকলকেই সর্বোতভাবে সহযোগিতা করছে।