নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: বুধবার কোচবিহারের মহারাজা জিতেন্দ্রনারায়ণ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখলেন স্বাস্থ্যভবনের দুই আধিকারিক। আর জি কর কাণ্ডের পর রাজ্য সরকার রাত্তিরের সাথী প্রকল্প চালু করেছে। সেই প্রকল্পের কাজ কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজেও হয়েছে। সেই কাজের অগ্রগতি ও হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন তাঁরা। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ দপ্তরের জয়েন্ট সেক্রেটারি বহ্নিশিখা দে ও ডেপুটি ডাইরেক্টর অব হেলথ সার্ভিসেস নিতাই মণ্ডল এদিন মেডিক্যাল কলেজে আসেন। তাঁরা হাসপাতাল, মাতৃমা ও মেডিক্যাল কলেজের প্রশাসনিক ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ নির্মলকুমার মণ্ডল, এমএসভিপি সৌরদীপ রায়, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, নার্সিং বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁরা বৈঠক করেন।
কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি সৌরদীপ রায় বলেন, স্বাস্থ্যভবনের দুই আধিকারিক এদিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। তাঁরা রাত্তিরের সাথী প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঘুরে দেখেছেন। আমরা আমাদের সমস্যাগুলিও তাঁদের সামনে তুলে ধরেছি।
মেডিক্যাল কলেজে রাত্তিরের সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে প্রচুর সিসি ক্যামেরা বসানো হয়। মেডিক্যাল কলেজের প্রশাসনিক ভবনেও সিসি ক্যামেরা বসেছে। এমজেএন বিল্ডিং-এ ২৪ ঘণ্টা নজরদারির জন্য কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। পুলিসের পক্ষ থেকে সেখানে তিনজন কর্মীকে বসানো হবে বলে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন। হাসপাতালের ভিতরে চিকিৎসকদের বসার জন্য নির্দিষ্ট ঘর তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ফ্যান ইত্যাদি লাগানো হয়েছে। এসি মেশিন বসানোর কাজ বাকি রয়েছে। এদিনের বৈঠকে পরিদর্শনকারী আধিকারিকদের কাছে মেডিক্যাল কলেজের সিসি ক্যামেরার কন্ট্রোল রুমে আরও বড় মনিটর দেওয়ার দাবি জানানো হয়। যাতে সমস্ত জায়গার ছবি স্পষ্ট দেখা যায়। বর্তমানে এখানে মাত্র তিনটি মনিটর রয়েছে। বাকি ক্যামেরাগুলির ছবি কম্পিউটারের মাধ্যমে দেখা হয় বলে মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে।