• বোল্লাকালী পুজো উপলক্ষ্যে লজ, হোটেলের ভাড়া আকাশছোঁয়া, প্রশাসনের পদক্ষেপ দাবি
    বর্তমান | ০৭ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: বোল্লাকালী পুজোর দু’সপ্তাহ আগেই গঙ্গারামপুর শহরে আমজনতার ক্ষমতার বাইরে যেতে বসেছে হোটেল, লজ ভাড়া।

    উত্তরবঙ্গ তথা রাজ্যের অন্যতম বড় কালীপুজো ও মেলা হয় বোল্লায়। ২২ নভেম্বর পুজো উপলক্ষ্যে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা,অসম থেকেও ভক্তরা আসেন পুজো দিতে। সেজন্য তাঁরা গঙ্গারামপুর ও বুনিয়াদপুর শহরের লজ, হোটেল বুক করে থাকেন। এবার ভাড়া শুনে চমকে উঠছেন দর্শনার্থীরা। গঙ্গারামপুর শহরে পুজোর দিনে নন-এসি ডাবল বেডের জন্য ভাড়া চাওয়া হচ্ছে ৩৫০০ থেকে ৫০০০ টাকার মধ্যে। এসি ডাবল বেড ৪০০০ থেকে ৫৫০০ টাকা। সিঙ্গেল বেড নিতে হলে গুনতে হবে প্রায় তিন হাজার টাকার কাছাকাছি। যে রুমের ভাড়া ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা, সেটার জন্য প্রায় দ্বিগুণ দাম হাঁকছেন ব্যবসায়ীরা। বোল্লাকালী পুজোর তিনদিন দর্শনার্থীদের ঢল নামে জেলায়। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইচ্ছেমতো ভাড়া চাওয়ার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। বালুরঘাট শহরেও দেখা গিয়েছে একইরকম ছবি।

    শিলিগুড়ির বাসিন্দা তন্ময় দে বলেন, বোল্লাকালী মাতার কাছে মানতের পুজো রয়েছে। পুজোর সময় শুক্রবার একদিনের জন্য গঙ্গারামপুর শহরে লজ নেওয়ার জন্য বুকিং করতে গিয়ে ভাড়া শুনে আঁতকে উঠেছি। ভাড়া নিয়ন্ত্রণ করুক প্রশাসন। 

    এপ্রসঙ্গে গঙ্গারামপুর শহরের চৌপথী এলাকার এক লজের মালিক কৌশিক মজুমদার বলেন, বোল্লাকালী পুজোর দিন রুমের চাহিদা থাকে। সেই কারণেই রেট একটু বেশি। শুধু আমার নয়, জেলাজুড়ে সব লজেই পুজোর সময় ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রত্যেকবার একই পরিস্থিতি থাকে।

    পুজো উপলক্ষ্যে গঙ্গারামপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুরসভা পরিচালিত গেস্ট হাউসে আগাম বুকিং বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেখানে গিয়েই একমাত্র বুকিং করা যাবে। পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র বলেন, বোল্লাকালী পুজো উপলক্ষ্যে চড়াদামে রুম বুকিং হচ্ছে এমন অভিযোগ পাইনি। দর্শনার্থীরা মায়ের পুজো দিতে আসেন। তাঁদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    বোল্লাকালী পুজো নিয়ে বুধবার বৈঠক হয়েছে বালুরঘাট জেলা প্রশাসনিক ভবনে। উপস্থিত ছিলেন সদর মহকুমা শাসক সুব্রতকুমার বর্মন, ডিএসপি হেড কোয়ার্টার বিক্রম প্রসাদ সহ পুজো কমিটির সদস্যরা।
  • Link to this news (বর্তমান)