সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: ধান বিক্রি করার কার্ড তৈরি করতে কৃষকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লক খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের পাঠানো প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে। এনিয়ে বুধবার ক্যাম্পে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কৃষকরা।
কয়েকদিন পর সরকার কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার কাজ শুরু করবে। তার জন্য অঞ্চলে অঞ্চলে শুরু হয়েছে ধান বিক্রি করার নতুন কার্ড তৈরি ও পুরনো কার্ড নবীকরণ প্রক্রিয়া। যা সম্পূর্ণভাবে বিনামূল্যে করার নির্দেশ রয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের দৌলতপুর অঞ্চলের কর্মকার পাড়ায় মঙ্গলবার শুরু হয়েছে ক্যাম্প। বুধবার দ্বিতীয় দিন কৃষকরা অভিযোগ করেছেন কার্ড তৈরি করতে ১০০ টাকা করে নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা প্রতিনিধিরা। যদিও প্রতিনিধিরা সেকথা অস্বীকার করেছেন।
অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের এডিএ প্রভাত আচার্য। কৃষকদের এবিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তিনি। তারপর থেকে প্রতিনিধিরা টাকা নেওয়া বন্ধ করেন বলে দাবি কৃষকদের। স্থানীয় কৃষক প্রদীপ সরকার বলেন, আমি ও কাকা ক্যাম্পে কার্ড করাতে গিয়েছিলাম। প্রতিনিধিরা বলেন, নতুন কার্ড করতে ১০০ টাকা করে লাগবে। আমি ও কাকা টাকা দিয়ে কার্ড তৈরি করি। পরে জানতে পারলাম টাকা নেওয়ার কোনও নির্দেশ ছিল না। শুনলাম এডিএ এসেছিলেন। ততক্ষণে আমরা বাড়ি চলে গিয়েছিলাম। তবে কেউ টাকা ফেরত পাইনি।
ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা এক প্রতিনিধি মৃন্ময় রায় বলেন, কৃষকরা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। কোনও কৃষকের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়নি।
এডিএ প্রভাত আচার্য বলেন, খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। কৃষকদের কাছ থেকে সেরকম কোনও অভিযোগ পাইনি। তবে ব্লক খাদ্য সরবরাহ দপ্তর এই বিষয়টি দেখে।
হরিশ্চন্দ্রপুর ২ এর বিডিও তাপস কুমার পাল বলেন, এভাবে তো টাকা নেওয়া যায় না। তবে কোনও কৃষক অভিযোগ জানাননি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি কী হয়েছিল। অভিযোগ সত্যি হয়ে থাকলে অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।