সংবাদদাতা, বাগডোগরা: দীপাবলির পর ছটপুজোর বাজারেও গাঁদা ফুলের চাহিদা তুঙ্গে। ছটঘাট ও বাড়ি সাজাতে গাঁদা ফুলের মালাই পছন্দের প্রথম তালিকায়। শহর শিলিগুড়ি থেকে মহকুমার গ্রামীণ এলাকার ছটঘাট তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শেষ। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ঘাটে পৌঁছবেন ছটব্রতী থেকে দর্শনার্থীরা। দু’দিনব্যাপী এই পুজোয় প্রতিটি ঘাটকে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলছেন ছটপুজো কমিটি ও ছটব্রতীদের পরিবারের লোকজন। কলাগাছ ও গাঁদা ফুলের মালা দিয়েই সাজানো হয় ছটঘাটগুলিকে। তাতেই লক্ষীলাভের আসায় মুর্শিদাবাদ সহ বিভিন্ন জেলা থেকে হরেক রকমের গাঁদা ফুলের মালা নিয়ে বাগডোগরায় হাজির হওয়া ফুল বিক্রেতারা।
বুধবার বাগডোগরা বিহারমোড়, পানিঘাটা মোড়, স্টেশন মোড়, গোঁসাইপুর, শিবমন্দির, মাটিগাড়া সহ বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার পাশে প্রচুর গাঁদা ফুলের মালা নিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে বসে থাকতে দেখা যায় ফুল বিক্রেতাদের। সুধাংশু মণ্ডল নামে বাগডোগরা বিহার মোড়ের এক ফুল বিক্রেতা বলেন, প্রতিবছর এই দিনে এখানে ফুলের দোকান দিই। এবার ফুলের যোগান ঠিকই ছিল। বাজারমূল্যও অন্যদিনের মতোই। ৩০টাকা প্রতিটি চেন অথবা একসঙ্গে একগুচ্ছ নিলে একটু দামাদামি করে নিচ্ছেন ক্রেতারা। মুর্শিদাবাদ থেকে অনেক টাকা পুঁজি লাগিয়ে এবার ফুল আনিয়েছি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিক্রি বেশি হবে বলে আশা করছি। এই দু’দিনের ব্যবসা করেই সংসারে কিছু বাড়তি আয় হয় প্রত্যেক বছর। এবারও তেমনই হবে বলে মনে করছি।
বিজয় রায় নামের এক ক্রেতা জানিয়েছেন, আমরা বাঙালি। তবে দীর্ঘদিন ধরেই ছটপুজো হয়ে আসছে বাড়িতে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সকলে মিলে ঘাট সাজাব। ঘাট সাজানোর প্রধান উপকরণ গাঁদা ফুলের মালা ও কলাগাছ। কলা গাছের জোগাড় হলেও গাঁদা ফুল কিনতে এসেছি।
অন্যান্য জায়গার মতোই মাটিগাড়া এলাকায় বাঁশের কুলো, ঝুড়ি, ফল সহ ছট পুজোর উপকরণের দোকানে দেখা গেল চোখে পড়ার মতো ভিড়। সবমিলিয়ে এবছরও লক্ষীলাভের আশায় ফুল বিক্রেতারা।