• তরুণীর অশ্লীল ছবি পোস্ট, মাটিগাড়ায় পুলিসের জালে যুবক
    বর্তমান | ০৭ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: সোশ্যাল মিডিয়ায় তরুণীর অশ্লীল ছবি পোস্ট! এই অভিযোগে মঙ্গলবার ঘোষপুকুর থেকে উত্তর প্রদেশের যুবককে গ্রেপ্তার করেছে শিলিগুড়ি সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম সুনীল যাদব। সে স্থানীয় টোলপ্লাজার কর্মী। অভিযোগ, প্রেমের সম্পর্কে ইতি টানায় মাটিগাড়ার এক তরুণীর অশ্লীল ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে উত্তর প্রদেশের ওই যুবক। এনিয়ে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় মোট তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিস কমিশনার (পূর্ব) রাকেশ সিং বলেন, ওই ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এবার মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

    প্রায় দু’মাস আগে সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হন মাটিগাড়ার ওই তরুণী। অভিযোগ, প্রেমের সম্পর্কে ইতি টানায় তাঁর অশ্লীল ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হয়েছে। সেই অভিযোগ নিয়ে তদন্তে নামে পুলিস। সেই সময় থেকেই তারা মূল অভিযুক্তকে খুঁজছিল। অবশেষে সোর্স মারফত খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে পুলিস ঘোষপুকুর এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।

    পুলিস সূত্রের খবর, ওই যুবতী একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। বেশ কয়েক মাস আগে তাঁর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয় ভিনরা‌঩জ্যের ওই যুবকের। সে ঘোষপুকুরে টোলপ্লাজার কর্মী। স্থানীয় এলাকায় বাড়িভাড়া নিয়ে থাকে। উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। দু’জনের মধ্যে অশ্লীল ছবি আদান প্রদান হয়। এই অবস্থায় ওই তরুণী জানতে পারেন উত্তর প্রদেশের ওই যুবক বিবাহিত। মেয়েটি সঙ্গে সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থেকে সরে আসেন। এই সম্পর্কে ছেদ হওয়ার পরই তরুণীর অশ্লীল ছবি সোশ্যাল মিডয়ায় পোস্ট করা হয়। গত ১২ সেপ্টেম্বর ওই তরুণী এব্যাপারে শিলিগুড়ি সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

    সাইবার ক্রাইম থানার অফিসাররা জানান, ওই অভিযোগ নিয়ে তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়। তরুণীর অশ্লীল ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দুই যুবক। তাদের নাম তাহিদ সরকার ও সাকিল রহমান। তাদের বাড়ি কোচবিহারে। তারা কর্মসূত্রে মাটিগাড়ায় বসবাস করত। তারা ফিজিওথেরাপিস্ট। দু’জনেই টোলপ্লাজার ওই কর্মীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। গত ২৪ অক্টোবর ওই দুই ফিজিওথেরাপিস্টকে গ্রেপ্তার করা হয়। টোলপ্লাজার ওই কর্মীর নির্দেশেই ধৃতরা অশ্লীল ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিল বলে অভিযোগ। ধৃতরাও বিষয়টি স্বীকার করে। তাদেরকে মোবাইল ফোনে ওই ছবি মূল অভিযুক্ত শেয়ার করেছিল। সেই সূত্রে তদন্ত চালিয়ে মূল অভিযুক্তকে ধরা হয়েছে। শীঘ্রই মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)