• অফিস টাইমে হাওড়া আউটারে ফের বিকল কারশেডগামী ট্রেন
    বর্তমান | ০৭ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: কাজের দিনের ব্যস্ত সময়ে ফের চূড়ান্ত দুর্ভোগের শিকার হলেন রেলযাত্রীরা। বুধবার সকালে হাওড়া স্টেশনে ঢোকার মুখে একটি লোকাল ট্রেনের ইঞ্জিনে বিগড়ে যায়। কোনওরকমে যাত্রী নামিয়ে সেটি কারশেডের দিকে যাওয়ার সময় সেই ট্রেনের ব্রেক বিকল হয়ে যায়। হাওড়া স্টেশনের আউটারে দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেনটি। এর ফলে একাধিক রেললাইন কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। বিভিন্ন শাখার ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে জায়গায় জায়গায়। ঘন্টাখানেক পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও হয়রানির একশেষ হয়েছে যাত্রীদের। অনেক যাত্রীকে ট্রেন থেকে নেমে রেললাইন ধরে হেঁটে স্টেশনের দিকে রওনা হতে দেখা যায়। বিরক্ত যাত্রীরা স্টেশনে পৌঁছে রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। 

    পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বর্ধমান থেকে আসা লোকাল ট্রেনটি হাওড়া স্টেশনের ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মুখে ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয়। প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের নামিয়ে ফাঁকা ট্রেন কারশেডে নিয়ে যাওয়ার সময় নতুন করে সমস্যা দেখা দেয় ব্রেকে। সেখানেই থমকে যায় ট্রেনটি। লাইন অবরুদ্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে প্রায় এক ঘন্টা হাওড়ার স্টেশনের ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢুকতে পারেনি ডাউন শ্রীরামপুর, আরামবাগ, ব্যান্ডেল, শেওড়াফুলি, তারকেশ্বর কিংবা কর্ড লাইনের বর্ধমান লোকাল। দাঁড়িয়ে পড়ে মালদহ-হাওড়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসও। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ইঞ্জিন বদলে ট্রেনটিকে সরিয়ে নিয়ে যান কর্মীরা। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বলেন, ‘যান্ত্রিক গোলযোগের জন্য একটি ফাঁকা লোকাল ট্রেনে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এর জন্য ১৫ মিনিট অন্যান্য ট্রেন চলাচলে দেরি হয়েছে।’ তবে যাত্রীদের দাবি, দুপুরের দিকে হাওড়া থেকে একাধিক শাখায় বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। রেলের দাবির তুলনায় অনেক বেশি সময় পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে বলেও অভিযোগ। তাঁদের দাবি, এভাবে চলছে দিনের পর দিন। দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকায় অনেকে যথা সময়ে কর্মক্ষেত্রে পৌঁছতে পারেননি। বেসরকারি সংস্থার বহু কর্মীর হাজিরা বাতিল হয়েছে। যাত্রীদের একাংশ মরিয়া হয়ে রেললাইন ধরে হেঁটে স্টেশনে পৌঁছেছেন। মেইন ও কর্ড লাইন মিলিয়ে অন্তত সাতটি ট্রেন থেকে যাত্রীদের নেমে রেললাইন ধরে হাঁটতে দেখা গিয়েছে। বালির বাসিন্দা তথা নিত্যযাত্রী দীপক ধানুকা বলেন, ‘১০টা ৫৫ মিনিটে বালি থেকে ডাউন তারকেশ্বর লোকাল ধরেছিলাম। লিলুয়া স্টেশনে আসার পর বলা হল, ট্রেন হাওড়ায় ঢুকতে দেরি হবে। অন্য একটি ট্রেন ধরলাম। তাতেও লাভ হল না। প্রায় ৪০ মিনিট হাওড়া স্টেশনের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকার পর অন্যান্যদের মতো আমিও রেললাইন ধরে হেঁটে স্টেশনে পৌঁছলাম।’ প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগেও একটি ফাঁকা ট্রেন কারশেডে নিয়ে যাওয়ার সময় বেলাইন হয়ে গিয়ে বিপত্তি ঘটেছিল। সেদিনও একাধিক লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রীদের চূড়ান্ত জেরবার হতে হয়।  
  • Link to this news (বর্তমান)