ডিসেম্বরেই চালু হতে চলেছে হাওড়া থেকে সরাসরি বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুর যাওয়ার রেলপথ
বর্তমান | ০৭ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দীর্ঘ ৯ বছরের অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। অবশেষে হাওড়া থেকে ট্রেনে চেপে সরাসরি বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুর যাওয়ার রেলপথ খুলে যাচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ডিসেম্বরেই হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনের সঙ্গে মশাগ্রাম-বাঁকুড়া সেকশন জুড়ে যেতে চলেছে। ২০১৩ সালে মশাগ্রাম-বাঁকুড়ার মধ্যে যাত্রী পরিষেবা চালু হয়েছিল। কিন্তু সরাসরি হাওড়ার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না। বাঁকুড়া যেতে হলে যাত্রীদের ট্রেন বদল করতে হতো। কিন্তু রেলের তরফে সেই অসম্পূর্ণ কাজ শেষ হয়েছে। ফলে এবার মশাগ্রাম হয়ে বাঁকুড়ার ট্রেন চলবে। তবে তার জন্য সিগন্যাল ও প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট লাইনে যাত্রীদের সাময়িক দুর্ভোগ পোহাতে হবে। লাইনের নন-ইন্টারলকিং কাজের জন্য আগামী ১৪ থেকে ১৭ নভেম্বর একগুচ্ছ এক্সপ্রেস এবং লোকাল ট্রেন বাতিল হতে চলেছে। পাশাপাশি একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন ঘুরপথে চালানো হবে।
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী সপ্তাহের বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার টানা চারদিন হাওড়া-বোলপুর শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস, হাওড়া-রামপুরহাট শহিদ সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ-রামপুরহাট মা তারা এক্সপ্রেস, হাওড়া-সিউড়ি হুল এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ-সিউড়ি মেমু বাতিল থাকবে। কবিগুরু এক্সপ্রেস ১৩ থেকে ১৬ নভেম্বর চলবে না। ১৪ থেকে ১৬ নভেম্বর শিয়ালদহ-আসানসোল ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের যাত্রা বাতিল থাকবে। গণদেবতা এক্সপ্রেসের পরিষেবা থেকে যাত্রীরা বঞ্চিত হবেন আগামী ১৬ ও ১৭ নভেম্বর। অন্যদিকে, হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি শতাব্দী এক্সপ্রেস, সরাইঘাট, পদাতিক, শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেস এবং মুম্বই মেল ঘুরপথে চালানো হবে।
এই কাজের জেরে কর্ডে আগামী বৃহস্পতি ও শুক্রবার ১১টি আপ এবং ১২টি ডাউন লোকাল ট্রেন বাতিল থাকবে। ওই দু’দিন মেন লাইনেও আপ-ডাউন মিলিয়ে বন্ধ থাকবে ২১টি লোকালের যাত্রা। এছাড়া গুচ্ছ ইএমইউ আপ এবং ডাউনে বাতিল থাকবে। রেলের দাবি, এই কাজের সৌজন্যে মশাগ্রাম থেকে শক্তিগড় পর্যন্ত সাড়ে ১১ কিলোমিটার রেলপথ পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং সিস্টেমের আওতায় চলে আসবে। যার মাধ্যমে ওই শাখায় আগামী দিনে আরও বেশি সংখ্যক মালগাড়ি ও যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো যাবে। ট্রেনের গতি বৃদ্ধিও হবে। এই উন্নত ও যাত্রী বান্ধব লাইন চালু হলে বাঁকুড়া পর্যটন শিল্পে বাড়তি অগ্রাধিকার পাবে, যা পশ্চিমবঙ্গের সার্বিক আর্থিক সমৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। একই সঙ্গে জঙ্গলমহলের পিছিয়ে পড়া ওই এলাকার রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল বদল আসবে।