'মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ করার চেষ্টা করবেন,সেটা দেখালে সাংবাদিকদের গ্রেফতার করবে?'
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৭ নভেম্বর ২০২৪
কালীপুজোর বিসর্জনের সময় কলকাতার রাজাবাজারে সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন সম্প্রচার করায় একটি ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমের ২ সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। সাংবাদিকদের গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। বুধবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার নব বারাকপুরে একটি জগদ্ধাত্রী পুজোর করে একথা বলেন তিনি। সুকান্তবাবু বলেন, আমরা সেদিন দেখেছি দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে দাঙ্গা হয়েছে, সত্যিই দাঙ্গা হয়েছে আপনি সত্যটাকে সত্য বলবেন না মুখ্যমন্ত্রী তলে তলে বাংলাদেশ বানানোর চেষ্টা করবেন?
এদিন সুকান্তবাবু রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, ‘রাজ্য সরকার কোর্টের সামনে গিয়ে বারবার বেইজ্জত হচ্ছে। উত্তর কলকাতার রাজাবাজার অঞ্চলে কালীপুজোর বিসর্জনের মিছিলে হামলা হয়েছে। এটা লুকোনোর কী আছে? রাজ্য সরকার যতই বলুক গাড়ি রাখা নিয়ে, পার্কিং নিয়ে গন্ডগোল। পার্কিং নিয়ে যদি কারও সাথে গন্ডগোল হয় দু’জন ব্যক্তির মধ্যে গন্ডগোল হবে। আমরা সেদিন দেখেছি দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে দাঙ্গা হয়েছে। সত্যিই দাঙ্গা হয়েছে। আপনি সত্যটাকে সত্য বলবেন না? মুখ্যমন্ত্রী তলে তলে বাংলাদেশ বানানোর চেষ্টা করবেন? আর যদি কোন সংবাদমাধ্যম সেটাকে দেখায় তার জন্য সাংবাদিকদেরকে গ্রেফতার করা হবে। এটা চলতে পারে না গণতান্ত্রিক দেশে।’
সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে মহিলাদের হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের যে অভিযোগ উঠেছে সে প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন সুকান্তবাবু। তিনি বলেন, ‘আবার রাজ্য সরকারের ডিভিশন বেঞ্চে মুখ পুড়েছে অন্য একটি কেসে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমাদের এই লোকসভার দমদম লোকসভার একজন কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাকে থানায় নিয়ে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ বেধড়ক মারে। আমরা কোর্টের সামনে যাই, কোট অর্ডার দিয়েছে এটা সিবিআই তদন্ত হবে। সেই সিবিআই তদন্তকে আটকানোর জন্য ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য সরকার ।ডিভিশন বেঞ্চ দুই গালে দু’টো থাপ্পড় খেয়ে নন্দলাল হয়ে রাজ্য সরকার ফিরে এসেছে। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত হবে।'
সুকান্তবাবু বলেন, ''পুলিশেরা কাস্টডিতে থাকা অবস্থায় পুলিশ কারুর গায়ে হাত দিতে পারে না, পুলিশের সেই অধিকার নেই। সেই পুলিশেরা এবার জেলে যাবে, ভাইপো বাঁচাতে পারবে না। আমি আপনাদের মাধ্যমে পুলিশ কর্মীদের বার্তা দিতে চাই, আপনারা আপনাদের চাকরি বাঁচানোর জন্য নিরপেক্ষ ভাবে থাকুন, না হলে চাকরি খেলে কিন্তু ভাইপো বাঁচাতে আসবে না।’