খবর যায় পুলিসে। খবর পেয়ে চুঁচুড়া থানার পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। দেহ চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়না তদন্তের জন্য। যুবকের বন্ধু বিশ্বজিৎ পাল, কার্তিক মণ্ডলরা বলেন, গতকাল রাত এগারোটার সময় বাইক নিয়ে জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখতে যাই। প্রদীপ খুব হাসিখুশি ছিল। চিলি চিকেন দিয়ে তন্দুরী রুটি খেয়ে রাত আড়াইটেয় বাড়ি ফিরি। ঠাকুরের সামনে ছবিও তুলি। প্রদীপ ফিরে এসে বলল দোকানে শুয়ে পড়বে। তারপর আমরা চলে যাই। আজ সকালে খবর পেলাম আত্মহত্যা করেছে। কেন এমন হল বুঝতে পারছে না বন্ধুরা। ধোঁয়াশায় পরিবারও।
প্রদীপের মা বাবা নেই। দুই দাদা ও তাঁদের পরিবার আছে। চুঁচুড়ার স্থানীয় এক আশ্রম কন্যার সঙ্গে বিয়ের ঠিক হয়েছিল। আগামী ১৭ তারিখ ছিল বিয়ের দিন। কার্ড ছাপানো থেকে সবকিছু আয়োজন হয়ে গিয়েছিল। তারপরেও এই মৃত্যু কেন বুঝে উঠতে পারছে না বন্ধুরা। মৃতের এক দাদা জানান, ভাইকে মিষ্টির দোকান করে দিয়েছিলেন। ব্যবসা ভালোই চলছিল।