বুধবার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পরে ‘সেভ ডেমোক্রেসি’ সংগঠনের পক্ষ সম্পাদক চঞ্চল চক্রবর্তীও বলেন, ‘‘৭২ ঘণ্টা পরে মেডিক্যাল পরীক্ষা হলে প্রমাণ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।’’ পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে থানায় মেয়েটির মা লিখিত অভিযোগ করেন। ওই রাতেই পুলিশ নাবালিকাকে প্রথমে স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার শারীরিক সমস্যা বুঝে সেখান থেকে তাকে একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়। সেখানেই সোমবার সকালে নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। যে হাসপাতালে নির্যাতিতা চিকিৎসাধীন ছিলেন, সেই হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বারুই বলেন, ‘‘আমাদের অগ্রাধিকার ছিল মেয়েটির চিকিৎসা। সেটি চিকিৎসকেরা করেছেন। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। তার পর মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়েছে। সবটাই চিকিৎসার অঙ্গ। এ ক্ষেত্রেও নিয়ম মেনেই সব করা হয়েছে।’’
মেডিক্যাল পরীক্ষা দ্রুত না হলে কী সমস্যা হতে পারে? বারাসত জেলা হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘ধর্ষণের ঘটনায়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো উচিত। ডাক্তারি পরীক্ষা যত দ্রুত হবেস প্রমাণগুলি শক্তপোক্ত হবে। দেরি হলেই সমস্যা।’’ বছর সতেরোর ‘নির্যাতিতা’ নাবালিকাকে একটি হোমে রাখা হয়েছে। নির্যাতিতার বাবার আবেদন, ‘‘১১ নভেম্বর থেকে মেয়ের মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা শুরু হবে। আমি চাই মেয়ে বাড়ি ফিরে পরীক্ষায় বসুক। ও পরীক্ষা দিতে চায়।’’
এ দিনই বিজেপি নেত্রী ফাল্গুনী পাত্রের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল নির্যাতিতার বাড়িতে যায়। তাঁরা পরে থানাও যান। ফাল্গুনীর বক্তব্য, ‘‘নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা কেন দেরিতে হল, আমরা পুলিশকে সেই প্রশ্ন করেছি। দেরি করে ডাক্তারি পরীক্ষার কারণ ঘুরিয়ে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার পরিকল্পনা।’’ জেলা পরিষদের সদস্য, তৃণমূলের অভিজিৎ বিশ্বাস বলেন, ‘‘নির্যাতিতাকে নিয়ে বিরোধীরা ঘোলা জলে রাজনীতি করছেন। এতে লাভ হবে না। আমরাও চাই নির্যাতিতা বিচার পাক।পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্তগ্রেফতার করেছে।’’