গোড়া থেকেই জগদম্বিকা পালের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগে সরব ছিলেন বিরোধীরা। গত মাসের একটি বৈঠকে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন জগদম্বিকা। সে সময়ে কল্যাণের বিরুদ্ধে কাচের বোতল ভেঙে চেয়ারম্যানের দিকে ছুড়ে মারার অভিযোগ ওঠে। যার জন্য এক দিনের জন্য কল্যাণকে সাসপেন্ড করা হয়। কোনও সদস্যকে সাসপেন্ড করার এক্তিয়ার জেপিসি চেয়ারম্যানের রয়েছে কি না, সে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা।
জগদম্বিকার বিরুদ্ধে যাতে পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়ে গত কাল লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে দেখা করেছিলেন বিরোধীরা। জগদম্বিকা পক্ষপাতিত্ব ত্যাগ না করলে প্রয়োজনে কমিটির বৈঠক বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে স্পিকারকে জানিয়ে আসেন বিরোধী সদস্যরা। পরবর্তী ধাপে চাপ বাড়াতে কিছু কঠোর পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিরোধীরা। কী সেই পদক্ষেপ, তা নিয়ে অবশ্য আজ মন্তব্য করতে চাননি কল্যাণ। তিনি বলেন, “জগদম্বিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রশ্নে বিরোধীরা একমত। যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা দেশ ও মুসলিম সম্প্রদায়ের স্বার্থে নেওয়া হবে।” ওয়াকফ বিল নিয়েবিরোধীদের আপত্তি যেমন রয়েছে তেমনি বিষয়টি স্পর্শকাতর এনডিএ-র শরিক দল টিডিপি, জেডিইউ, এলজেপি-র জন্যও। ইতিমধ্যেই জমিয়তে উলেমা-এ হিন্দ-এর মতো একাধিক মুসলিম সংগঠনটিডিপি ও জেডিইউ নেতৃত্বের কাছে মুসলিমদের স্বার্থের কথামাথায় রেখে ওই বিলটি সমর্থন না-করার আবেদনকরে রেখেছে।