আদালত সূত্রের খবর, ওই অফিসার বর্তমানে রাজ্য পুলিশে ইনস্পেক্টর পদে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সরকারের অনুমতি নিয়ে মামলা রুজু করেছিল এসিবি। চার্জশিটে বলা হয়েছে, ২০১৮ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ওই পুলিশকর্মী পূর্ব মেদিনীপুরে সাব ইনস্পেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অভিযোগ, ওই সময়ে তিনি যা আয় করেছেন, তার থেকে বেশি সম্পত্তি হয়েছে। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে বিভিন্ন নথি এবং তথ্য খতিয়ে দেখার পর আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। মাস কয়েক আগে বীরভূমে কর্মরত এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি থাকার অভিযোগ এনে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছিল এসিবি।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের প্রথম দিকে কয়েকশো দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়েছিল এসিবির কাছে। তার মধ্যে নবান্নের অনুমোদন মেলায় ৩০ জন সরকারি কর্মী বা অফিসারে বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত করেন এসিবির গোয়েন্দারা। যার মধ্যে ছিলেন ওই পুলিশ অফিসারও। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত অফিসারদের জমা দেওয়া সম্পত্তির তালিকার সঙ্গে তদন্তে উঠে আসা হিসাব খতিয়ে দেখা হয়। তার পরেই অসঙ্গতি মেলায় নবান্নে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল অনুমতি চেয়ে। অনুমতি মেলায় চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে বলে আদালত সূত্রের খবর। চার্জশিটে নাম থাকা ওই পুলিশ অফিসার ছাড়াও রাজ্য এবং কলকাতা পুলিশের একাধিক অফিসার এসিবির নজরে রয়েছেন।