দমদম পুরসভা জানিয়েছে, সেখানে বেশ কিছু জলাশয় পরিষ্কার করা হয়েছে। পুজোর দিন জলাশয়ের ধারে থাকবে মেডিক্যাল ক্যাম্প। পর্যাপ্ত সংখ্যক পুরকর্মী, ডুবুরি এবং পুলিশকর্মীও থাকবেন। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও প্রস্তুত রাখা থাকবে। পুরকর্তারা তদারকি ও নজরদারিতে থাকবেন। দমদমের গোরাবাজারে ধোবিয়াপুকুর-সহ কয়েকটি জলাশয়ে ছটপুজো হয়। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বরুণ নট্ট জানান, তাঁদের তরফে প্রস্তুতি প্রায় শেষ।
দমদমের তিন পুর এলাকা মিলিয়ে ১০-১২টি বড় এবং কমবেশি ২০টি জলাশয়ে ছটপুজো হবে। উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস জানান, জল যাতে দূষিত না হয়, সে দিকে বাড়তি নজর রাখা হচ্ছে। পুজোর পরে উত্তর ২৪ পরগনায় ডেঙ্গির প্রকোপ বেড়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। তাই ছটপুজোর আগে জলাশয় সংলগ্ন এলাকায় যাতে মশা না থাকে, তা নিশ্চিত করতে সেখানে মশা মারার তেল ও ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হচ্ছে। বাজি ফাটানো নিয়ন্ত্রণে রাখতে সজাগ থাকবে পুলিশ। দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাসও জানান, জলাশয় সাফাই এবং মশা নিয়ন্ত্রণে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
অন্য দিকে, ছটপুজো উপলক্ষে হাওড়ায় গঙ্গার ঘাটগুলিতে বিশেষ ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। গাড়ি রাখার জন্য দেওয়া হচ্ছে কিউআর কোড। দুপুর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হবে কিছু রাস্তা। ঘাটগুলিতে নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। সেখানে থাকবে ডুবুরি, অতিরিক্ত লঞ্চ, নৌকা। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকা থেকে আনা হচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। রামকৃষ্ণপুর, শিবপুর, বাঁধাঘাট, জগন্নাথ ঘাটে থাকবে ব্যারিকেড। থাকবে বিশাল পুলিশবাহিনীও। ছটপুজোর দু’দিন অন্যান্য বছরের মতো এ বারও জি টি রোড ও ফোরশোর রোডের মধ্যে কয়েকটি সংযোগকারী রাস্তা বন্ধ থাকবে। গ্র্যান্ড ফোরশোর রোড পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।