• বেড না থাকলে রেফার নয়, সরকারি হাসপাতালে শুরু ‘সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম’, কী এই প্রযুক্তি?
    আজ তক | ০৭ নভেম্বর ২০২৪
  • সরকারি হাসপাতাল থেকে অযথা রেফার করে দেওয়ার রোগ নতুন নয়। পাশাপাশি ভালো চিকিৎসা পাওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে শহরের নামজাদা মেডিক্যাল কলেজে বা হাসপাতালে এসে বেড না পেয়ে রোগীদের হয়রানি ঘটনাও কম নেই। এবার সেই প্রবণতায় লাগাম টানতে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে রাজ্যজুড়ে সেন্ট্রালি মনিটরড রেফারেল সিস্টেম চালু করল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। গত ১৫ অক্টোবর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে পাঁচটি হাসপাতালে শুরু হয় এই প্রকল্প।  পয়লা নভেম্বর থেকে রাজ্যের সব হাসপাতালেই এই ব্যবস্থা শুরু হয়ে গিয়েছে জোর কদমে।

    কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সুপার ডক্টর অঞ্জন অধিকারী আজতক বাংলাকে জানান কীভাবে কাজ করছে এই নয়া প্রযুক্তি। জানা গিয়েছে, এবার থেকে কোনও রোগীকে রেফার করতে হলে স্বাস্থ্য দফতরের অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে রেফার করতে হবে রোগীকে। যে রোগীকে রেফার করা হচ্ছে তার যাবতীয় তথ্য, রেফার করার কারণ এবং যিনি রেফার করছেন তাঁর বিস্তারিত রেকর্ড থাকবে সেই পোর্টালে। যে হাসপাতালে রেফার করা হচ্ছে, অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে সেখানকার চিকিৎসকরা আগেই সেই তথ্য পেয়ে যাবেন। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে সেই হাসপাতালে যদি বেড থাকে তাহলে রেফার গ্রহণ করা হবে। তারপরেই রোগীকে স্থানান্তর করা হবে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে। মনে করা হচ্ছে, এতে রোগী ও তাঁর পরিবারের  ভোগান্তি খানিকটা কমবে।

     

    পয়লা নভেম্বরের পর কলকাতা-সহ রাজ্যের সব হাসপাতালে শুরু হয়ে গিয়েছে এই সিস্টেম, হাসপাতালগুলির বাইরে লাগানো হচ্ছে LCD ডিসপ্লে বোর্ড। তাতে সরাসরি দেখা যাবে সেই হাসপাতালে এই মুহূর্তে কোন ডিপার্টমেন্টে ক'টা বেড ফাঁকা রয়েছে। রোগীর পরিবার যাতে সেই তথ্য জানতে পারেন এবং স্বচ্ছতা বজায় থাকে সেই কারণেই এই উদ্যোগ। ইতিমধ্যেই কলকাতার SSKM হাসপাতাল, আরজি কর হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজে বসানো হয়েছে সেই LCD ডিসপ্লে বোর্ড।

    কীভাবে কাজ করবে সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম? সুবিধাই বা কী?  স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে, কলকাতার পাঁচ মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে জেলার হাসপাতালগুলোকে যুক্ত করা হয়েছে। অনলাইন রেফারেল সিস্টেম এমন একটা ব্যবস্থা যে আউটডোরে বসেই সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসক বুঝে নিতে পারবেন, তাঁর বিভাগে কতগুলি বেড ফাঁকা আছে। আবার জেলা বা ব্লক হাসপাতালগুলি যুক্ত হওয়ায় তারাও বুঝতে পারবে, কোন মেডিক্যাল কলেজ বা হাসপাতালে কত বেড ফাঁকা আছে। সেই বুঝে রোগীদের রেফার করা হবে। এক্ষেত্রে ব্লক ও জেলা হাসপাতালগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম। সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসক দেখে নেবেন, কোন হাসপাতালে রোগী পাঠানো উচিত।  উল্লেখ্য, অক্টোবরে রাজ্যে শুরু হয়েছিল সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেমের পাইলট প্রজেক্ট ৷ সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে এক রোগীকে এই কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্য়বস্থার মাধ্যমে এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল ৷ 

    প্রতিবেদন- বীথি দাস
     
  • Link to this news (আজ তক)