• ছাদ টপকে ঘরে ঢুকে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ, ধৃত ডাক্তারের বাবা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৭ নভেম্বর ২০২৪
  • আবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। এবার দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল। হাসনাবাদ পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দশম শ্রেণির ছাত্রীকে এবার ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন চিকিৎসকের বাবা। অভিযুক্ত পরিতোষ সরকারকে আজ, বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। ছাদ টপকে ওই ছাত্রীর বাড়ি ফাঁকা থাকা অবস্থায় ঢুকে জোর করে ধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।

    এদিকে পরিবার সূত্রে খবর, ওই নাবালিকা ছাত্রীকে বাড়িতে একা রেখে কলকাতায় গিয়েছিলেন তাঁর বাবা–মা। এই খবরটা প্রতিবেশী ওই ব্যক্তি রেখেছিলেন। তারপর সেই একা ফাঁকা বাড়িতে থাকার সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের নামকরা ডাক্তারের বাবা দুটি ঘরের ছাদ ডিঙিয়ে ঘরের ভিতরে ঢোকে। আর ওই দশম শ্রেণির নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত পরিতোষ সরকার ঘরের ভিতরে ঢুকে ওই দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এমনকী ধর্ষণের কথা কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় ওই ডাক্তারের বাবা। তবে মেয়েটির বাবা–মা বাড়িতে ফিরতেই তাদের কাছে সব বলে দেয় মেয়েটি।

    অন্যদিকে এই ঘটনা শুনে হাসনাবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের করতেই পুলিশ আজ হাসনাবাদ এলাকা থেকে ওই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। আদালতে তোলা হলে দশ দিনের পুলিশ হেফাজত দেওয়া হয়েছে। আর ওই নাবালিকা ছাত্রীকে গোপন জবানবন্দি নেওয়ার জন্য বসিরহাট আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সব কথা খুলে বলেন ওই নির্যাতিতা। তার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। এই ঘটনার পর মেয়েটি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। ট্রমা কাজ করছে। তবে চিকিৎসকরা সবটা দেখে নিচ্ছেন। যাতে সমস্যা না হয়।

    এছাড়া এই বিষয়ে নির্যাতিতা নাবালিকা ছাত্রীর মা অভিযোগ করেন, আগেও মেয়েকে একাধিকবার উত্ত্যক্ত করেছিল প্রতিবেশী পরিতোষ সরকার। বুধবার বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে মেয়ের উপর যৌন নির্যাতন করেছে সে। নির্যাতিতা নাবালিকার মা বলেন, ‘‌আগেও মেয়েকে একাধিকবার উত্ত্যক্ত করেছে ওই বৃদ্ধ। আমরা বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়েই এই অপকর্ম করেছে। তবে এমনটা হবে ঘুণাক্ষরে বুঝতে পারিনি। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই। কারণ আমার মেয়ের জীবন নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)