হাতে আর পাঁচদিন। তারপরই রাজ্যের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন হবে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই সব রাজনৈতিক দল মাঠে নেমে পড়েছে। জোরদার প্রচার চলছে সর্বত্র। হাড়োয়া, মেদিনীপুর, তালড্যাংরা এবং নৈহাটি কেন্দ্রে সব দলের হেভিওয়েট নেতাদের প্রচারে দেখা যাচ্ছে। মাদারিহাটেও বিজেপির তাবড় নেতারা প্রচারে এসেছেন। অন্যান্য রাজনৈতিক দল তো আছেই। কিন্তু সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রে তেমন কোনও হেভিওয়েট বিজেপি নেতাকে দেখা যাচ্ছে না। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপির অন্দরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
কিন্তু কেন সিতাইয়ের ক্ষেত্রে এমন ঘটছে? রাজ্য নেতৃত্ব এই নিয়ে কিছু বলছেন না। তবে দলের জেলার নেতাদের একাংশের বক্তব্য, মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্র বিজেপির দখলে ছিল। সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দশ হাজার ভোটে পরাজিত হন বিজেপি প্রার্থী। আর ওই পরাজয় থেকে এবারেও আশঙ্কা করা হচ্ছে হেরে যেতে হতে পারে সিতাই কেন্দ্রে। তাই এই পরাজয় থেকে গা বাঁচিয়ে চলেছেন বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা। তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য সিতাই কেন্দ্রে জোরদার প্রচার করছে। এই উপনির্বাচনে ছয়ে ছয় করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রটি এখন দেখছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। যাঁর নেতৃত্বে দিনহাটা জয় থেকে শুরু করে লোকসভা নির্বাচনে নিশীথ প্রামাণিককে গোহারা হারানো সম্ভব হয়েছে। সুতরাং তৃণমূল কংগ্রেসের এখানে সংগঠন অত্যন্ত শক্তিশালী। তাই বিজেপি বুঝতে পেরেছে সিতাইয়ে খাপ খোলা যাবে না। সুতরাং হেভিওয়েট নেতাদের প্রচারে আনা হয়নি। জেলা বিজেপির দাবি, তাঁরা সিতাইয়ে ভোটের প্রচার করছেন। বড় জনসভার পরিবর্তে ছোট সভা ও বাড়িতে গিয়ে জনসংযোগের উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায়ের সাফাই, ‘দলের রাজ্য নেতৃত্ব সিতাইয়ে প্রচার করবেন।’
ইতিমধ্যেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মাদারিহাটে প্রচার করেছেন। তাঁর এই সিতাই কেন্দ্রে প্রচারে আসার কথা রয়েছে। এই বিষয়ে বিজেপির কোচবিহার জেলা সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, ‘দলের নেতাদের কর্মসূচি নিয়ে প্রস্তুতি শেষ।’ তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, সিতাইয়ে বিজেপির এখন কোনও সংগঠন নেই। তাই বিজেপি সভা ডাকলেও লোক পাবে না। তাই তারা সন্ত্রাসের কথা বলছে। দু’দিন পর সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার করবেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রী পুলক রায় বলে সূত্রের খবর।