‘কমলা দেবীর অবস্থা বঙ্গ–বিজেপির মতো’, উপনির্বাচনের আগে দলকে খোঁচা অনুপমের
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৭ নভেম্বর ২০২৪
হাতে আর পাঁচদিন। তারপরই বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন হবে। এই আবহে বঙ্গ–বিজেপি নেতৃত্বকে আবার কড়া ভাষায় বিঁধলেন অনুপম হাজরা। তিনি এই দলেরই প্রথমসারির নেতা ছিলেন। এখন তাঁকে সাইড করে দেওয়া হয়েছে। মাঝে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল অনুপম হাজরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন। কিন্তু তা হয়নি। এখন আবার অনুব্রত মণ্ডলও তিহাড় জেল থেকে ফিরে এসেছেন। যাঁর সঙ্গে অত্যন্ত ভাল সম্পর্ক অনুপমের। একদা বাড়িতে যাতায়াতও ছিল। সেখানে এবার আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা হ্যারিসের পরাজয়ের কথা উল্লেখ করে বঙ্গ–বিজেপিকে বিঁধলেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা।
গতকাল রাতে ফেসবুকে অনুপম হাজরা বঙ্গ–বিজেপি নেতৃত্বকে কমলা হ্যারিসের পরাজয়ের সঙ্গে তুলনা করে ঠুকেছেন। যা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। অথচ বিষয়টি নিয়ে কেউ মুখ খোলেননি। তাতেই বোঝা যাচ্ছে বঙ্গ–বিজেপি নেতৃত্ব এই ফেসবুক পোস্টের জেরে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে। আগেও একাধিক ঘটনায় গেরুয়া শিবিরকে কড়া আক্রমণ করেছেন অনুপম। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন তখন বঙ্গ–বিজেপি নেতৃত্বকে এভাবে ঠোকা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
অনুপম হাজরার পোস্টে বঙ্গ–বিজেপি নেতৃত্বের সমালোচনা করা হলেও আখেরে দুর্বল জায়গাটি তিনি চিহ্নিত করে দিয়েছেন। সংগঠনের হাল প্রকাশ্যে নিয়ে এসে একপ্রকার ঘর গোছাবার পরামর্শ দিয়েছেন। অনুপম হাজরা ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘প্রত্যেক বুথে লোক বসাতে পারায় ডোনাল্ড ট্রাম্প জিতছেন। অন্যদিকে কমলা হ্যারিসের অবস্থা বঙ্গ বিজেপির মতো। কাগজে–কলমে বুথ কমিটি থাকলেও বুথে বসার লোক নেই।’ সুতরাং বঙ্গ–বিজেপির নেতৃত্ব যে সংগঠন মজবুত করতে পারেনি সেটা খোলসা করে দিয়েছেন অনুপম। প্রত্যেক জেলায় বিজেপির বুথ কমিটি থাকলেও নির্বাচনের সময় বুথে এজেন্ট দিতে পারে না দল বলেই খোঁচা দিয়েছেন তিনি।
তবে এই খোঁচার অন্তরালে রয়েছে কোন পথে হাঁটলে সাফল্য আসবে। বুথে বসার লোক তৈরি করতে হবে। এটাই বোঝাতে চেয়েছেন অনুপম। যদিও এই কথা আগেও বারবার বলেছেন দিলীপ ঘোষও। কিন্তু সেই সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই অনুপম হাজরার এই ফেসবুক পোস্টের কারণে অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য ও জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। অবশ্য এই বিষয়ে আলাদা করে কিছুই বলেননি অনুপম। এই বিষয়ে বিজেপির বোলপুর সংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেন, ‘কে কোথায় কী পোস্ট করেছে সেটা নিয়ে আমরা কিছুই বলতে পারব না। আমাদের দলীয় শৃঙ্খলা আছে। উচ্চ নেতৃত্ব সব দেখবেন এবং তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন।’