হাতে আর পাঁচদিন সময়। তারপরই বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। এই আবহে আবার পাহাড় সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গের সিতাই এবং মাদারিহাট কেন্দ্রে উপনির্বাচন আছে। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। যদিও তিনি উপনির্বাচনের প্রচারে যাচ্ছেন না। কিন্তু পাহাড় থেকে সমতল সবক্ষেত্রের মানুষের সঙ্গে তাঁর দেখা হবে। তখনই মানুষের মাধ্যমে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে কিছু কথা বলতে পারেন। বন্যার সময়ও মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গের জেলায় পরিদর্শনে এসেছিলেন। তবে সেটা পাহাড় সফর ছিল না। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলতি মাসেই পাহাড় সফরে আসছেন।
কবে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে? আগামী ১১ নভেম্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দার্জিলিং পৌঁছনোর কথা। এবার প্রথম দার্জিলিংয়ে এসে সরস মেলার উদ্বোধন করবেন তিনি। এই সরস মেলা হচ্ছে পঞ্চায়েত দফতরের উদ্যোগে। ম্যালের চৌরাস্তায় টানা ১১ দিন ধরে তা চলবে। ১২ নভেম্বর সরস মেলার উদ্বোধন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর রাজ্যের নানা প্রান্তের হস্তশিল্পীরা এই মেলায় যোগ দেবেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরকে ঘিরে পাহাড়ে চূড়ান্ত ব্যস্ততা শুরু হয়েছে। কারণ সরস মেলা–সহ একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে এই মাসে পাহাড়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এখানে এসেই জিটিএ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি বলে সূত্রের খবর।
আর কী কর্মসূচি থাকছে? এখন জিটিএ পরিচালনা করার ক্ষেত্রে অনীত থাপার গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চাকে সবরকম সাহায্য করছে তৃণমূল কংগ্রেস। অনীতদের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব আসছে তা মেনে নিয়ে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প চলছে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে। সুতরাং জিটিএ ও প্রশাসনিক বৈঠকে ঠিক হবে আগামী দিনে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞের রূপরেখা। আবার দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা প্রশাসনের সঙ্গেও বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ১১ নভেম্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোজা দার্জিলিং পৌঁছবেন। আর ১৪ তারিখ কলকাতায় ফেরার কথা মুখ্যমন্ত্রীর।
আর কী জানা যাচ্ছে? ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে তেমন সাফল্য দেয়নি পাহাড়। তারপর এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম পাহাড় সফর। তাই রাজনৈতিক দিক থেকে তাঁর এই সফর খুব গুরুত্বপূর্ণ। শৈলশহরে তিন পুরসভার বকেয়া নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান নিয়ে আলোচনা হতে পারে। প্রত্যেক বছর সরস মেলা হয় কলকাতায়। আর হয় শিলিগুড়িতে। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে উত্তরবঙ্গের জন্য বরাদ্দ মেলা হবে দার্জিলিংয়ে। নানা দেশের পর্যটকরা এখানে আসেন। বাংলার হস্তশিল্পীদের কাজ পর্যটকদের সামনে তুলে ধরতেই দার্জিলিংকে বেছে নেওয়া হয়েছে।