জেলাশাসককে লেখা গত ৪ নভেম্বরের চিঠিতে গুরুদাস জানিয়েছেন, দামোদরের উপরে বেশ কিছু পাম্প হাউসে জল নেই। কারণ ডিভিসি জল ছাড়ার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। এর ফলে এলাকায় জলের অভাব দেখা দিয়েছে। এর জন্য জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অনুরোধ করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বার্নপুরে দামোদর পরিদর্শন করতে এসেও ডিভিসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন গুরুদাস। তাঁর কথয়, ‘‘ডিভিসিকে জল ছাড়ার জন্য চিঠি লেখার পরেও তারা জল ছাড়েনি। জল না থাকায় ছটব্রতীরা অসুবিধায় পড়েছেন।’’
ডিভিসির তরফে দাবি, গত ৪, ৫ এবং ৬ নভেম্বর পর পর তিন দিন জল ছাড়া হয়েছে দামোদরে। ৭৫০ কিউসেক করে জল ছেড়েছে তারা। ডিভিসির আধিকারিক অঞ্জনীকুমার দুবে বলেন, ‘‘ডিভিসির একটি দল দামোদরের বিস্তীর্ণ অংশ পরিদর্শন করে দেখেছে। জল রয়েছে। তবে আসানসোল পুরনিগমের জলাধার পর্যন্ত জল পৌঁছতে গেলে সেই জায়গাটি পরিষ্কার করতে হবে, প্রয়োজনে খাল কাটতে হবে। যা পুরনিগম করেনি।’’ কম পরিমাণ জল ছাড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এর চেয়ে বেশি পরিমাণ জল ছাড়া সম্ভব নয়। কারণ মাইথন ও পাঞ্চেতের এই জলকে জুন মাস পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেও এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি।’’
উল্লেখ্য, কিছু দিন আগে বর্ষার শেষলগ্নে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তখনও তার জন্য ডিভিসিকেই দায়ী করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ডিভিসি অতিরিক্ত জল ছাড়ার কারণে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি ভেসে গিয়েছে বলে অভিযোগ ছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রাজ্যকে না জানিয়েই ডিভিসি জল ছেড়ে দেয়। রাজ্যের কথা শোনা হয় না। ঝাড়খণ্ডকে বাঁচাতে বাংলাকে ভাসানো হয় বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। প্রতিবাদে ডিভিসির জলাধার নিয়ন্ত্রণ কমিটি থেকে রাজ্যের প্রতিনিধিকেও তুলে নেওয়া হয়েছিল। এ বার বর্ষা কাটতেই ছটে দামোদরে জল না থাকার জন্য সেই ডিভিসিকেই দুষল প্রশাসন।