ঝাড়গ্রামে চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যু, হোটেল রুম থেকে উদ্ধার দেহ
বর্তমান | ০৮ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যু! এখানকারই এক হোটেলের রুম থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। মৃতের নাম দীপ্র ভট্টাচার্য (২৯)। ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগের চিকিৎসক ছিলেন তিনি। আদতে কলকাতার বড়িশার বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, স্থানীয় একটি হোটেলের পাঁচতলায় একটি রুম ভাড়ায় নিয়ে থাকতেন দীপ্র। শুধু তিনি নন ওই হোটেলটিতেই ভাড়া থাকেন ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের আরও বেশ কয়েকজন চিকিৎসকেরাও। আজ বৃহস্পতিবার সকালেই কলকাতা থেকে ঝাড়গ্রামে আসেন দীপ্র। এরপর থেকেই তাঁকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি বলেই দাবি তাঁর স্ত্রীর। এরপর দীপ্রর স্ত্রী অন্যান্য সহকর্মীদের ফোন করেন। তারপর তাঁর সহকর্মীরা একাধিকবার তাঁর রুমের কাছে গিয়ে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোনও সাড়া মেলেনি। খবর দেওয়া হয় পুলিসে। অবশেষে দুপুর ২টো নাগাদ পুলিস দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দীপ্রর দেহ উদ্ধার করে। তাঁর বিছানার নীচে সিরিঞ্জ ও একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে। তবে পুলিস অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। মৃতদেহও ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কিন্তু দীপ্র আত্মহত্যা করেছে নাকি তাঁকে কেউ খুন করেছে সে নিয়ে রহস্য দানা বেধেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া অবধি তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছে পুলিস।
এদিকে, তাঁর মোবাইল থেকে একটি মেসেজ একাধিক নম্বরে ফরোয়ার্ড করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। সেই মেসেজ ঘিরেই এখন হইচই পড়ে গিয়েছে। মৃত্যুর আগে ওই মেসেজের মধ্য দিয়ে দীপ্র ‘থ্রেট কালচার’-এর বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বলেও দাবি ঝাড়গ্রামের চিকিৎসকদের একাংশের। যদিও এই মেসেজ আদৌ দীপ্রর মোবাইল থেকে করা হয়েছিল কিনা, সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে বলতে পারছে না পুলিস।