চন্দননগরে কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির নিয়ন্ত্রণে ১৭৭ টি পুজো হয়। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর বিশেষত্বই হলো সুউচ্চ প্রতিমা ও থিমের চমক এবং চন্দননগরের বিখ্যাত আলোর রোশনাই। পাঁচ দিন ধরে এই পুজোকে ঘিরে মেতে ওঠে শহর চন্দননগর। আজ ষষ্ঠী থেকেই সেই পুজোকে ঘিরে মেতে উঠেছে আলোর শহর। সকাল থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গিয়েছে মণ্ডপে মণ্ডপে। তবে সূর্য ডুবতেই দর্শনার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে। এবছর চন্দননগরের বাগবাজার,বড়বাজার,দৈবকপাড়া,মনসাতলা, উর্দিবাজার, বেশোহাটা সর্বজনীন মন্ডপ সজ্জায় নজর কাড়ছে।
চন্দননগরের এই পাঁচদিনের পুজোর বিশেষ আকর্ষণ হল শোভাযাত্রা। অনেকটা পুজো কার্নিভালের মতোই হয় এই শোভাযাত্রা। আলোয় সাজানো লরিতে সুসজ্জিত প্রতিমা, সঙ্গে নানা ধরনের বাজনা। সেই শোভাযাত্রা দেখতে রাস্তার দু'ধারে ঢল নামে লাখো মানুষের। যাঁরা চন্দননগরের কিংবা বিদেশে থাকেন, তারাও যাতে শোভাযাত্রা দেখতে পান, এবছর তারই উদ্যোগ নিয়েছে চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজো কেন্দ্রীয় কমিটি। কমিটির সহ-সম্পাদক শুভজিৎ সাউ জানিয়েছেন, 'চন্দননগর স্ট্যান্ড ও তালডাঙায় দুটি মঞ্চ বানানো হবে। সেই মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় কমিটি ফেসবুকে পেজে সরাসরি সম্প্রচার বা লাইভ স্ট্রিমিং করা হবে জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভাযাত্রা। অনেক মানুষ আছেন যারা হয়তো শোভাযাত্রা দিন আসতে পারেন না অথবা যারা বিদেশে থাকেন তাদের জন্যই এই ব্যবস্থা চালু হচ্ছে'।