পুলিস সূত্রে খবর, মৃত চিকিত্সকের নাম দীপ্র ভট্টাচার্য। বাড়ি, কলকাতায় বেহালায়। ঝাড়গ্রামে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক হিসাবে কর্মরত ছিলেন তিনি। থাকতেন ঝাড়গ্রাম শহরেরই ঘোড়াধরা এলাকায় একটি গেস্ট হাউসের পাঁচতলার ফ্ল্যাটে। সঙ্গে আরও দুই চিকিত্সকও।
আজ, বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতা থেকে ঝাড়গ্রামে ফেরেন দীপ্র। এরপর নিজের ফ্ল্যাটে একাই ছিলেন তিনি। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে গেলে ওই চিকিত্সকের আর কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল থেকে বেশ কয়েকবার ফোন করা হয়েছিল। ফোন ধরেননি দীপ্র। তবে কলকাতায় স্ত্রীকে বেশ কয়েকটি মেসেজ পাঠিয়েছিলেন। শেষপর্যন্ত ঝাড়গ্রামে ওই চিকিত্সকের বান্ধবীকে ফোন করেন পরিবারের লোকেরা।
ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের আরও ২ চিকিত্সককে সঙ্গে নিয়ে দীপ্রের ফ্ল্যাটে পৌছঁন ওই মহিলা। পুলিসের দাবি, তাঁরাই ফ্ল্যাটে দরজা ভাঙেন। দেখেন, বিছানায় অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন দীপ্র। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। কীভাবে মৃত্যু? তা এখনও স্পষ্ট নয়।
সূত্রের খবর, স্ত্রীকে যে মোবাইলে যে বার্তা পাঠিয়েছিলেন, সেই বার্তা মৃত চিকিত্সক লিখেছেন, 'আমি তোমাকে ভালোবাসতে পারিনি। পুরনো ক্ষত থেকে বেরোতে পারলাম না। আমি ফাঁদে পড়ে গিয়েছিলাম। বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিলাম। তুমি মুভ অন করে যাও। তুমি কাঁদবে না, নতুন করে জীবন শুরু করো'।