ঠিক এইমত পরিস্থিতিতে মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতালে দালালচক্রের সমস্যা মেটাতে নতুন সুপারিশ করল তদন্ত কমিটি। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগী বা তাঁর পরিবারের লোকজনের জন্য নতুন একটি ফর্ম চালু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। সেই ফর্মের মাধ্যমে সহজেই 'বেড বিক্রি' সংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগ সহজেই জানতে পারবেন রোগীর আত্মীয়রা। দালালচক্র বা বেড দুর্নীতি রুখতেই এই ফর্ম কাজে লাগবে, বলে মনে করছেন জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ।
পাশাপাশি আরও একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। সেন্ট্রাল ল্যাবের টেস্ট কিট বেসরকারি সেন্টারে পাচার করা হত। যে তদন্ত কমিটি তৈরি হয়েছিল তাতে রয়েছেন ৪ জুনিয়র ডাক্তার সহ ১১ জন সদস্য। গত ২৮ সেপ্টেম্বর জুনিয়র ডাক্তারদের তরফ থেকে মেডিক্যাল কলেজের অথরিটিকে অভিযোগ জানানো হয়। যদিও তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী কোনরকমের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিন্তু বেশকিছু সুপারিশ করা হয়েছে। যেমন হাসপাতালে গ্রুপ ডি কর্মীদের ইউনিফর্ম পরতে হবে। নিজেদের পরিচয়পত্র গলায় ঝুলিয়ে রাখতে হবে। এবং তাদের কোন একটি ডিপার্টমেন্টে সবসময় না রেখে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে রাখতে হবে।
যদিও বেড নিয়ে সমস্যার সুরাহা করার জন্যই জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে রাজ্যজুড়ে সেন্ট্রালি মনিটরড রেফারেল সিস্টেম চালু করল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। গত ১৫ অক্টোবর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে পাঁচটি হাসপাতালে। এবার আর জি করেও শুরু হল সেন্ট্রালি মনিটরড রেফারেল সিস্টেম।