• জগদ্ধাত্রী প্রতিমার রূপ নিয়ে অসন্তোষ! কী জবাব দিল চন্দননগরের বাগবাজার পুজো কমিটি?
    প্রতিদিন | ০৮ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার ১৯০ বর্ষে পা দিল চন্দননগরের বিখ্যাত বাগবাজার সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো। প্রতিবছরই অগণিত মানুষের আগমন হয় ঐতিহ্যশালী এই পুজো দেখতে। দেবীর অপূর্ব মুখশ্রী ও সাজসজ্জায় মুগ্ধ থাকেন ভক্তরা। কিন্তু এবারের ছবিটা অন্যরকম। বাগবাজারের প্রতিমার রূপ প্রকাশ্যে আসতেই অনেকে অভিযোগ করতে থাকেন, দেবীর মুখের আদল বদলে গিয়েছে। এবার সেই বিষয়ে মুখ খুলল বাগবাজার সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি।

    এর আগে সোশাল মিডিয়ায় কথা ওঠে অন্যান্য বারের থেকে চলতি বছরের প্রতিমার মুখের গড়ন ভিন্ন ধরনের। এমনকী, অনেকের বক্তব্য এটা যে বাগবাজারের ঐতিহ্যশালী পুজো, তা বোঝা যাচ্ছে না। প্রশ্ন ওঠে, কেন চিরাচরিত রূপ বদলে গেল? তার উত্তরে নিজেদের সোশাল মিডিয়ায় কমিটির তরফ থেকে দুঃখপ্রকাশ করে লেখা হয়েছে, “বাগবাজার সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির আজ একথা স্বীকার করতে বাধা নেই যে মায়ের চিন্ময়ী রূপকে মৃন্ময়ী রূপদান করতে এবছর সফল হতে পারিনি। তবে, এই অসাফল্যের কারণ কিন্তু আমাদের আর্থিক কার্পণ্য অথবা কমিটির কোনও অবহেলা নয়।”

    তাহলে কেন এই অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটল? কমিটির বক্তব্য, “মূর্তি বানান মৃৎশিল্পী। শিল্পীর শৈল্পিক সত্ত্বার উপর আমরা আস্থা রেখেছিলাম। শিল্পীর শৈল্পিক নৈপুণ্য তাঁর পরবর্তী প্রজন্ম একই রকম ভাবে ধরে রাখতে পারেনা অনেক ক্ষেত্রেই, তাই এই দায় সর্বতভাবে বাগবাজার পূজা কমিটির নয়। যদিও এই স্বীকারোক্তিতে অগণিত ভক্ত দর্শকের মন ভাঙার উপশম হবে না, তবু আমরা হয়তো মানসিক ভাবে একটু হালকা হব। কারণ আমরাও আপনাদের মতোই সমব্যথী।”

    সেই সঙ্গে তারা জানাচ্ছে, ভবিষ্যতে এই বিষয়ে তারা আরও সাবধানী হবেন। সেই বিষয়ে অঙ্গীকার করে তারা লিখেছে, “কথা দিচ্ছি, আরও অনেক বেশি প্রস্তুত হব আগামী বছরগুলোর জন্য। আপনারাই এ পুজোর মেরুদণ্ড, তাই এই স্বীকারোক্তি আমাদের মধ্যেকার স্বচ্ছতা অবিচল রাখার জন্য। এটি কোনো অজুহাত নয়, এটি দায়স্বীকার মাত্র এবং আগামীর অঙ্গীকারও।” তবে তার পরেও অনেকে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। যখন মূর্তি তৈরি হচ্ছিল, তখন কমিটি কেন এই বিষয়ে নজর দেয়নি, সেই প্রশ্নও তুলছেন অনেকে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)