ডোমজুড়ে মূল হাসপাতাল ভবনের পিছনে সেমিনার হলের কাছে বেশ কয়েকটি পরিত্যক্ত ঘর রয়েছে। অভিযোগ, সেই ঘরের একটিতে গরু বাঁধা থাকে। অন্য একটি ঘরে গরুর খাওয়ার জন্য খড় মজুদ করা থাকে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতাল চত্বরের ভিতরে চার-পাঁচটি গরু থাকে। খাটালের ব্যবসা চালান স্থানীয় যুবক শেখ সাহেব। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই হাসপাতালের বাইরে একটি গোয়ালঘর রয়েছে। সেই গোয়ালঘরে প্রবেশের জন্য হাসপাতালের দেওয়ালেই রয়েছে টিনের দরজা। সেই দরজা দিয়ে হাসপাতাল চত্বরে গরু ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয়দের দাবি, ওই টিনের দরজায় ঝোলানো তালার চাবি হাসপাতালের কারও কাছে নেই। চাবিটি থাকে খাটালের মালিক সাহেবের কাছে। গরু চরানোর জন্য তিনি রোজ সকালে টিনের দরজা খুলে হাসপাতাল চত্বরে গরু ঢুকিয়ে দেন। তার পর সারাদিন হাসপাতালের মাঠে গরু চরে। কিছু গরু রেখে দেওয়া হয় হাসপাতালের পরিত্যক্ত ঘরে।
সাহেব জানিয়েছেন, তিনি খাটাল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। টিনের দরজাটি আদতে হাসপাতালের ময়লা ফেলার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। যদিও তার তালা এবং চাবি তাঁর কাছে থাকে। তিনি ওই দরজা খুলে গরু রাখেন হাসপাতাল চত্বরে। ডোমজুড়ের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, এ বছরের জুলাই মাসে তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর হাসপাতালের পাঁচিলের বাইরে খাটাল দেখেছিলেন। সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়েও তিনি বিডিও, জেলাশাসক এবং পুলিশকে চিঠি দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। তবে হাসপাতালে গরু চরে কি না, তাঁর জানা নেই। বিষয়টি আবার কর্তৃপক্ষের নজরে আনবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি আরও দাবি করেন, আরজি কর-কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। পুলিশ পোস্টিংয়ের পাশাপাশি হাসপাতালের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘হাসপাতাল মানুষের চিকিৎসার জন্য, গরু রাখার জায়গা নয়। তাই এ বিষয়ে যাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তা দেখা হবে।’’