মেডিক্যাল কলেজগুলির পরীক্ষায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলেছিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারেরা। গত ২১ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নবান্নের বৈঠকেও সেই প্রসঙ্গ উঠেছিল। মমতা বলেছিলেন, পরীক্ষায় আর কাউকে ‘ঘাড় ঘোরাতে’ দেওয়া হবে না। তার পরেই পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেখানেই একাধিক কড়াকড়ির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রতিটি পরীক্ষা হবে সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে। পরীক্ষাকেন্দ্রে দু’টি সারির মাঝে পর্যাপ্ত ফাঁকা জায়গা রাখতে হবে। আবশ্যিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে পরীক্ষার্থীদের মাঝে।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পরীক্ষার্থীদের দুই সারির মাঝে সামনের দিকে ৩৬ ইঞ্চি এবং পিছনের দিকে অন্তত ১২ ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে হবে। প্রয়োজনে একাধিক ঘর ব্যবহার করতে হবে পরীক্ষার জন্য। কিন্তু কড়াকড়ির সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না।
স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন্দ্রীয় ভাবে ডাক্তারদের পরীক্ষার সরাসরি সম্প্রচার বা লাইভ স্ট্রিমিংয়ের বন্দোবস্ত করা হবে। ওই সম্প্রচারের দিকে কড়া নজর রাখবেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা। প্রতিটি কলেজে সিসিটিভি ফুটেজ অন্তত এক বছরের জন্য সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। তা পাঠাতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়েও। এ ছাড়া, পরীক্ষাকেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন, শৌচালয়ে পাহারার মতো পদক্ষেপও করা হচ্ছে। প্রশ্নফাঁস এড়াতেও একাধিক বন্দোবস্ত করছেন কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, মমতার সঙ্গে বৈঠকে পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে একাধিক অভিযোগ জানিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। পরীক্ষায় কারচুপি, টাকা দিয়ে পাশ করানো, প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো অভিযোগ ওঠে। আন্দোলনকারীদের অন্যতম পরিচিত মুখ অনিকেত মাহাতো মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন, থ্রেট কালচারে যাঁরা অভিযুক্ত, সঠিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা হলে তাঁরা কেউ ১০ পাওয়ারও যোগ্য নন। এর পরেই মমতা পরীক্ষায় কড়াকড়ি করার কথা বলেছিলেন। সেই মতো মেডিক্যাল কলেজগুলির পরীক্ষার পদ্ধতিতে একাধিক বদল আসতে চলেছে।