রাস্তায় পথ কুকুরদের মারধর করার প্রতিবাদ মহিলার, বনগাঁয় মিলল পাল্টা শ্লীলতাহানি
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৮ নভেম্বর ২০২৪
পথ কুকুরদের নির্মমভাবে মারা হচ্ছিল। আর এই ঘটনা দেখে প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন এক মহিলা। কিন্তু পথ কুকুরদের মারার প্রতিবাদ করার জেরে ওই মহিলাকে শাস্তি পেতে হয়েছে বলে অভিযোগ। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই ঘটেছে বনগাঁয়। আর এই ঘটনায় রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। ভাল কাজের জন্য এভাবে কোনও মহিলাকে নিগ্রহ করার ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক বলে মনে করছেন মানুষজন। লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে এক মহিলাকে বলে অভিযোগ। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিকে বুধবার এই ঘটনা যখন ঘটেছে তখন প্রতিবাদ করেছিলেন ওই মহিলা। কেন পথ কুকুরদের এভাবে মারা হচ্ছে? এই প্রশ্ন তুলেছিলেন ওই মহিলা। তখন অভিযুক্ত যুবকরা তাঁকে পাল্টা হুমকি দেয়, তাতে আপনার কী? নিজের চরকায় তেল লাগান। না হলে একটা মারও বাইরে পড়বে না। এমন অভব্য আচরণ দেখে আরও তেতে ওঠেন ওই মহিলা। তিনি পথ কুকুরদের এভাবে মারতে নিষেধ করেন। বনগাঁ থানার সুভাষপল্লি এলাকায় তখন তাঁকে লাঠি দিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় দুই প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে এক তো পথ কুকুরদের নির্মমভাবে মারা হচ্ছিল। তারপর প্রতিবাদ করতে ওই মহিলাকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত ওই মহিলার অভিযোগ, বুধবার সন্ধ্যায় রাস্তার সন্তানসম্ভবা একটি পথ কুকুরকে লাঠি দিয়ে মারছিল দুই প্রতিবেশী। সেটা দেখে তখনই প্রতিবাদ করা হয়। তার জেরেই লাঠি দিয়ে মারা হয়। রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। অভব্য আচরণ পর্যন্ত করা হয়। শ্লীলতাহানিও করে ওই দুই যুবক। মারধর করার সময় রাস্তায় বের না হওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। রাস্তায় আর বের হলে বাঁশ পেটা করার হুমকি দেওয়া হয়।
এছাড়া পুলিশ সূত্রে খবর, এক মহিলা পথ কুকুরদের মারা হচ্ছিল দেখতে পান। সেটা রুখতেই প্রতিবাদ করেন। তখনই প্রতিবেশী দুই যুবক ওই মহিলাকে লাঠি দিয়ে মারধর করে। নির্যাতিতা রাতেই বনগাঁ থানাতে ওই দুই প্রতিবেশী যুবক সুদীপ্ত ঘোষ এবং বিজয় ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এই গোটা ঘটনা নিয়ে নির্যাতিতা মহিলার দাবি, ‘পথ কুকুরটিকে খুব নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে। আমাকেও যেভাবে মারধর করা হয়েছে সেটার উপযুক্ত শাস্তি চাই। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। এবার দেখা যাক পুলিশ কী করে।’