বীর চিলা রায়ের নামে বাগডোগরা বিমানবন্দরের নামকরণের দাবি
বর্তমান | ০৮ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: নতুন টার্মিনাল তৈরির কাজের শিলান্যাস হওয়ার পর বিভিন্ন মহল থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নতুন নামকরণ নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। সরকারি কোনও স্তর থেকেই বাগডোগরা বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি এখনও সামনে আসেনি। কিন্তু ব্যক্তিগত বা গঠনগত ভাবে বিভিন্ন স্তর থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরের নতুন নামকরণের জন্য একাধিক নামের প্রস্তাব উঠতে শুরু করেছে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, তেনজিং নোরগে, নেপালি আদি কবি ভানুভক্তের পর এবার রাজবংশী বীরসেনা চিলা রায়ের নাম প্রস্তাব করল তরাই রাজবংশী চেতনা মঞ্চ।
বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে মঞ্চের আহ্বায়ক রাজেন বর্মন বলেন, রাজবংশী ইতিহাসে বীর যোদ্ধা হিসেবে চিলা রায়ের বিশেষ অবদান রয়েছে। কামতাপুর অর্থাৎ কোচ রাজ বংশের দ্বিতীয় রাজা নর নারায়ণের প্রধান সেনাপতি ছিলেন চিলা রায়। যোদ্ধা হিসেবে তাঁর বীরত্ব আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্বীকৃত। ভারতে বিদেশি শক্তির অনেক আক্রমণ হয়েছে। কিন্তু চিলা রায়কে কোনও বিদেশি শক্তি পরাস্ত করতে পারেনি। আর এই অঞ্চলে রাজবংশীদের বিশেষ অবদান রয়েছে। চিলা রায় রাজবংশী সমাজে বীর সেনাপতি হিসেবে শ্রদ্ধার আসনে রয়েছেন। সেকথা মাথায় রেখেই আমরা প্রস্তাব রাখছি যে, যদি বাগডোগরা বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন হয় তাহলে তা চিলা রায়ের নামে করা হোক।
এক প্রশ্নের উত্তরে রাজেনবাবু বলেন, বিভিন্ন জায়গায় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, ছত্রপতি শিবাজী, জয়প্রকাশ নারায়ণ সহ আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে বিমানবন্দরের নামকরণ করা হয়েছে। এধরনের নামকরণের ক্ষেত্রে যে যুক্তি ও ব্যাখ্যা কাজ করছে সেই যুক্তি ও প্রেক্ষাপটে বাগডোগরা বিমানবন্দরের নামকরণ চিলা রায়ের নামে হওয়া উচিত।
বাগডোগরায় বায়ু সেনার এয়ারবেস তৈরি হয়েছিল। পরবর্তীতে এই অঞ্চলে বিমান চলাচল শুরু হলে বায়ু সেনার এয়ারবেসকে বিমানবন্দর হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তার থেকেই বাগডোগরা বিমানবন্দর নামকরণ হয়ে চলে আসছে। কিন্তু বাগডোগরা বিমানবন্দর নামকরন হওয়ায় আন্তর্জাতিক মানচিত্রে শিলিগুড়ির নামটি চাপা পড়ে গিয়েছে। এনিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা রাজনৈতিক দল নাম পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে চর্চা উত্থাপন করেছে। কিন্তু পরবর্তীতে এব্যাপারে আর কোনও অগ্রগতি হয়নি।
ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, বাগডোগরা এয়ারবেস থেকে সরে এসে নতুন টার্মিনাল তৈরি হলে তার নামকরণ পরিবর্তনের জোরাল সম্ভাবনা থাকে। তা ধরে নিয়েই বিভিন্ন স্তর থেকে এধরনের নামকরণের প্রস্তাব রাখা হচ্ছে।