• পরিবারের অনুমতি ছাড়াই রোগীকে অন্যত্র রেফার, নার্সিংহোমে বিক্ষোভ পরিজনদের
    বর্তমান | ০৮ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: পরিবারের অনুমতি না নিয়ে রোগীকে গুরুতর অবস্থায় মেডিক্যালে রেফার করা নিয়ে বৃহস্পতিবার নকশালবাড়ির একটি নার্সিংহোমে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। প্রসঙ্গত, গত সোমবার নকশালবাড়ির প্রেমনগরের বাসিন্দা বছর ষাটের রাধিকা দাসকে পেটে টিউমারের সমস্যা নিয়ে নকশালবাড়ি একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। এরপর রোগীর সমস্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখে মঙ্গলবার অপারেশন করা হয়। অভিযোগ, বুধবার রোগীর পরিবারকে না জানিয়ে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হন রোগীর পরিজন ও প্রতিবেশীরা। তাঁরা নার্সিংহোমে এসে কর্মীদের উপর চড়াও হন। এতে ধস্তাধস্তিতে এক কর্মী জখম হন। খবর পেয়ে নকশালবাড়ি থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পরে শিলিগুড়ি মহাকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন রোগীর পরিজনরা। 

    রোগীর মেয়ে পার্বতী পাল বলেন, চিকিৎসক দেখানোর পর মায়ের পেটে টিউমার ধরা পড়ে। সেইমতো তা অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন চিকিৎসক। এজন্য পার্শ্ববর্তী নার্সিংহোমে যোগাযোগ করি। তারা ৩২ হাজার টাকায় চিকিৎসা হয়ে যাবে বলে জানায়। তবে অপারেশনের পরের দিন ফোন মারফত মায়ের শ্বাসকষ্টের কথা জানানো হয়। আমরা যেতে না যেতেই রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তারা মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়ে দেয়। চিকিৎসায় গাফিলতির জেরে মায়ের অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক। এখানে চিকিৎসা না হলে তারা আগেই জানাতে পারত। 

    যদিও সমস্ত প্রক্রিয়া মেনে ও পরিবারের সদস্যদের অনুমতি নিয়ে রোগীকে ডিসচার্জ করে মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান নার্সিংহোমের সিনিয়ার এগজিকিউটিভ রাহুল আচার্য। তিনি বলেন, শিলিগুড়ির স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে রোগীর পেটে টিউমারের অপারেশনটি হয়। বুধবার সকাল ১১টা পর্যন্ত রোগী ভালোই ছিল। পরে তাঁর শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। এরপর সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে ফোন করে জানালে তিনি মেডিক্যালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। বর্তমানে রোগী মেডিক্যালের এইচডি-১ ইউনিটে ভর্তি আছেন। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষ বলেন, রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রথমে তাঁকে দেখতে হবে। ওই নার্সিংহোম কোনও ভুল করে থাকলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

     নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)