• তৃণমূলের আশ্বাস, ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত বাতিল জারিধরলা ও দড়িবশের বাসিন্দাদের
    বর্তমান | ০৮ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, দিনহাটা: ফি বছর বন্যায় গৃহহীন হন গীতালদহের জারিধরলা ও দড়িবশ গ্রামের বাসিন্দারা। ভাঙন রুখতে সিঙ্গিমারি নদীকে লাগাম পরানোর দাবি উঠেছে। ওই এলাকার বাসিন্দারা ৪ কিলোমিটার নদী বাঁধ তৈরির দাবি করেছেন। প্রতি নির্বাচনেই বাঁধ তৈরির ইস্যু সামনে আসে। নেতা-নেত্রীরা প্রতিশ্রুতিও দেন প্রাণ খুলে। তবে ভোট পার হলে বাঁধ তৈরি হয় না। কিন্তু বাঁধ তৈরির দাবিতে এবার উপ নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাসিন্দারা। এখানে প্রায় পাঁচ হাজার ভোটার রয়েছেন। এরপরেই নড়েচড়ে বসেছেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। বৃহস্পতিবার কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিত দে ভৌমিক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুমিতা বর্মন সহ স্থানীয় নেতা-নেত্রীরা এলাকায় যান। তাঁরা সাধারণ মানুষের ক্ষোভের কথা শোনেন। তাঁরা বাঁধ তৈরির আশ্বাস দেন। এতে তাঁরা এবারের মতো ভোট দিতে রাজি হন। তবে ২৬’এর বিধানসভার আগে বাঁধ নির্মাণ না হলে বাসিন্দারা জবাব দেবেন বলে জানিয়েছেন। 

    দড়িবশ গ্রামের বাসিন্দা দিলদার মিয়াঁ বলেন,  প্রতি বছর বন্যায় শত শত বিঘা জমি নদীর গর্ভে চলে যায়। বসতভিটে খুইয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। তবু বাঁধ নির্মাণ হয়নি। বাধ্য হয়ে ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমরা। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা এসে আমাদের কথা শুনেছেন। তাঁরা ফের আশ্বাস দিয়েছেন। ২০২৬ এর বিধানসভা ভোটের আগে বাঁধ নির্মাণ না হলে আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত নেব। 

    স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের আবু কালাম আজাদ বলেন, গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য দলের নেতারা এসেছেন। তাঁদের কথা  শুনে বাসিন্দারা ভোট দিতে রাজি হয়েছেন। এবারের উপ নির্বাচনে এলাকার মানুষ ভোট দেবে।  তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিত দে ভৌমিক বলেন, ওই এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা হয়েছে। সিঙ্গিমারি নদীতে বাঁধ নির্মাণে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। নদী ভাঙন ঠেকাতে বাঁধ তৈরি হবেই। কোচবিহারের  সাংসদ জগদীশ বসুনিয়া বলেন, ওই এলাকায় বাঁধ তৈরির জন্য ইতিমধ্যে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের সেচ দপ্তর প্রস্তাব পাঠিয়েছে ব্রহ্মপুত্র রিভার বোর্ডে। টাকা বরাদ্দ হলেই  বাঁধের কাজ শুরু হবে। 

     দড়িবশে তৃণমূল নেতৃত্ব। - নিজস্ব চিত্র। 
  • Link to this news (বর্তমান)