• দু’বার জিতেও কোনও কাজ করেননি বিজেপি বিধায়ক
    বর্তমান | ০৮ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: মনোজ টিগ্গা দু’বার মাদারিহাটের বিধায়ক ছিলেন। দু’বার জিতেও তিনি উন্নয়নের কোনও কাজই করতে পারেননি। তাহলে উপ নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী রাহুল লোহারকে জিতিয়ে এনে তিনি আর কী কাজ করবেন? মাদারিহাট বিধানসভার উপ নির্বাচনে বিরোধীদের প্রচারের অন্যতম অভিমুখ এখন এটাই। ২০১৬ ও ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে জিতে মাদারিহাটের বিধায়ক হয়েছিলেন বিজেপির মনোজবাবু। চব্বিশের লোকসভা ভোটে দাঁড়িয়ে তিনি জিতে যাওয়ায় মাদারিহাট বিধানসভার উপ নির্বাচন হচ্ছে। মনোজবাবু এখন দলের জেলা সভাপতিও। তাঁরই সুপারিশে উপ নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী করেছে দলের মণ্ডল নেতা রাহুল লোহারকে। তারপরেই মনোজবাবুকে নিয়ে ভোটের প্রচারে বিরোধীদের শুরু হয়েছে তীব্র কটাক্ষ। তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার কটাক্ষ, মনোজবাবু নিজে দু’বার বিধায়ক হয়েও এলাকায় কোনও উন্নয়নের কাজ করতে পারেননি। একথা শুধু আমরা বলছি না। এলাকার ভোটাররাই বলছেন। ফলে ঠিকই তো দলীয় প্রার্থীকে জিতিয়ে মনোজবাবু আর কী উন্নয়নের কাজ করবেন। আমরা প্রচারে সেটাই তুলে ধরছি। সিটুর জেলা সাধারণ সম্পাদক বিকাশ মাহালি আবার একধাপ এগিয়ে বলছেন, শুধু মনোজ টিগ্গা তো নন। জেলায় বিজেপির আরও বিধায়ক আছেন। বিজেপির সেই বিধায়করাও তো নিজেদের এলাকায় উন্নয়নের কাজ করতে পারেননি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মনে প্রশ্ন জাগছে মাদারিহাটে প্রার্থীকে জিতিয়ে মনোজ কী করবেন। তবে তৃণমূলকে জেতালেও লাভ হবে না। জিতলে তৃণমূল প্রার্থীও এলাকায় কাজ করবেন না।

    মাদারিহাটকে গেরুয়া শিবিরের গড় বলা হয়। মূলত, চা শ্রমিকদের ব্যাপক সমর্থনে মনোজবাবু পর পর দু’বার জিতে মাদারিহাটের বিধায়ক হন। মাদারিহাটের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের অভিযোগ, বিধায়ক থাকার সময় তাঁকে এলাকাতেই দেখা যেত না। তার জন্য মনোজবাবুর নামে এক সময় এলাকায় নিখোঁজের পোস্টারও পড়েছিল। দু’বার বিধায়ক হয়েও তিনি বীরপাড়া রেলগেটে ফ্লাইওভার নির্মাণ, দলগাঁও রেলস্টেশন থেকে ডলোমাইট সাইডিং অন্যত্র নিয়ে যাওয়া সহ বহু কাজই করতে পারেননি।

    যদিও বিরোধীদের পাল্টা আক্রমণ করে মনোজবাবু বলেন, উন্নয়নের কাজে বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিদের রাজ্যের তৃণমূল সরকার অসহযোগিতা করে আসছে। তাই ইচ্ছে থাকলেও, মাদারিহাটে অনেক কাজ করতে পারিনি শুধু রাজ্য সরকার সাহায্য না করায়। তবে এলাকার চা শ্রমিকরা বিজেপির দিকেই আছেন। ভোটের ফল বেরলেই বিরোধীরা এর জবাব পাবেন।
  • Link to this news (বর্তমান)