নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কেন্দ্রীয় নিয়ামক সংস্থা এনসিটিইকে পারফরম্যান্স অ্যাপ্রাইজাল (পার) রিপোর্ট জমা দেওয়া নিয়ে অদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি হল। ৯ নভেম্বর ছিল এর শেষদিন। তবে, বৃহস্পতিবারই এনসিটিই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছে, এর চূড়ান্ত সময়সীমা ১০ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই, এই সংক্রান্ত কাজের জন্য ছটের সরকারি ছুটির মধ্যে ৮ এবং ৯ নভেম্বর অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাবা সাহেব আম্বেদকর এডুকেশন ইউনিভার্সিটি (বিএসএইইউ)। সেই বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়েছিল। তবে, সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়ায় সেই ছুটি বাতিল করা হচ্ছে বলে জানান অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিএড কলেজগুলি সঠিক নিয়ম মেনে চলেছে কি না, সেই শংসাপত্র দেবে বিশ্ববিদ্যালয়। সেই কাজ ২ নভেম্বর থেকে শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সময় কম থাকার কারণেই ছটে অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বিএড কলেজগুলি আশাবাদী, বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে শংসাপত্র তারা পেয়ে যাবে। তবে, সংশয়ে রয়েছে ডিএলএড কলেজগুলি। তাদের এই শংসাপত্র নিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছ থেকে। পর্ষদ ৩০ অক্টোবর পোর্টাল খুলে সমস্ত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে। চূড়ান্ত সময় দেওয়া হয়েছে ২২ নভেম্বর। তাই কলেজগুলির বক্তব্য, এনসিটিই সময়সীমা না বাড়ালে তাদের পক্ষে এই শংসাপত্র পাওয়া সম্ভব হতো না। এনসিটিইর সময়সীমা বৃদ্ধিকে স্বাগত জানিয়েছে কলেজগুলির সংগঠন ইউনাইটেড ফোরামের শীর্ষনেতা তপন বেরা। তবে, যে কলেজগুলি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন থেকে বিএসএইইউয়ের অধীনে এসেছে, তাদের ফ্যাকাল্টি তালিকা বা ইআরসি লিস্ট জমা দেওয়া নিয়ে কিছু জটিলতা রয়েছে।