নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: কালীপুজোর পর আটদিন পার হয়েছে। কিন্তু এখনও দমদম রোডে প্যান্ডেল খোলার কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। রাস্তা জুড়ে একের পর এক গেট। যানজটে নাকাল হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্যাণ্ডেল খোলার কাজ চলছে গয়ংগচ্ছভাবে। যদিও পুজো কমিটিগুলির তরফে জানানো হয়েছে, পুজোর পর থেকেই মণ্ডপ খোলার কাজ শুরু হয়েছে। ডেকরেটার্স সংস্থাকে কাজে গতি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার দমদম রোডে পুজোর সংখ্যা কমেছে। একেবারে অর্ধেক রাস্তা দখল করে পুজো করছিল খামখেয়ালি সঙ্ঘ। হনুমান মন্দির লাগোয়া জ’পুর জয়শ্রীর প্যান্ডেল রয়েছে সার্ভিস রোডের উপর। এছাড়া দমদম স্টেশন থেকে হনুমান মন্দির লাগোয়া রাস্তার বহু গেট ও রাস্তার ধারে বাঁশ বেঁধে বিজ্ঞাপন লাগানো হয়েছিল। সেইসব গেট ও বাঁশের খাঁচা এখনও খোলা হয়নি। তার উপর সকাল হলেই দমদম রোডের উপর সব্জি, মাছ ও মাংসের দোকান বসছে। ফলে যানজটে নাকাল হচ্ছে সাধারণ মানুষ। দমদম রোড দিয়ে নিত্যদিন যাতায়াত করা প্রমিশ হাজরা বলেন, কালীপুজোর দশদিন আগে থেকে রাস্তা আটকে প্যান্ডেল বাঁধার কাজ শুরু হয়েছে। পুজোর পর আটদিন কাটলেও এখনও তা খোলা হয়নি। অফিস টাইমে তীব্র যানজটে সকলকে নাকাল হতে হচ্ছে। অথচ, এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দিয়ে বহু পুলিস -প্রশাসনের আধিকারিকরা যাতায়াত করেন। কারও কোনও হুঁশ নেই। ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, কলকাতা সহ বিভিন্ন শহরেও রাস্তার উপর পুজো হয়। কিন্তু পুজোর পর মানুষের স্বার্থে তা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় খোলা হয়। কিন্তু এখানে নিয়মকানুন আলাদা। রাস্তা থেকে প্যান্ডেল দ্রুত খুলতে কারও কোনও উদ্যোগ নেই।
খামখেয়ালি ক্লাবের সম্পাদক রূপম ঘোষ বলেন, সোমবার সকাল থেকে মণ্ডপ খোলার কাজ শুরু হয়েছে। অনেকটা খোলা হয়ে গিয়েছে। দ্রুত মণ্ডপ খোলার কাজ শেষ করার জন্য ডেকরেটার্স সংস্থাকে আমরা বারবার অনুরোধ করছি।-নিজস্ব চিত্র